প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
জয়পুরের গেলিয়ারের প্রতারিত ওই ব্যক্তি বলেন, একবছর আগে কিস্তিতে একটি গাড়ি কিনেছিলাম। ছ’মাস চালানোর পর কিস্তি পরিশোধ করা অসুবিধা হচ্ছিল। পুরনো গাড়ি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় একজনের মাধ্যমে অন্য জেলার এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয়। সে আমার গাড়িটি খাটিয়ে লোনের কিস্তি মেটানোর পাশাপাশি প্রতিমাসে কয়েক হাজার টাকা হাতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। তাতে রাজি হয়ে যাই। গত জানুয়ারি মাসে ওই ব্যক্তিকে গাড়িটি দিই। এব্যাপারে একটি চুক্তিপত্র করা হয়। কিন্তু, পরবর্তীকালে আমাকে কোনও টাকা দেয়নি। পরে সংস্থার কর্মীরা লোনের কিস্তির টাকা চাইতে এলে বুঝতে পারি, কিস্তির টাকাও সে মেটায়নি। এরপরই ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করি। সে আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দিতে থাকে। প্রতারিত হয়েছি বুঝতে পেরে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরানো গাড়ি কেনাবেচা যারা করে তাদের সঙ্গে প্রতারকদের যোগাযোগ রয়েছে। কোন ব্যক্তি লোনের কিস্তি মেটাতে পারছেন না, তার তথ্য মিডিলম্যানদের কাছ থেকে তারা সংগ্রহ করছে। বিক্রি করার পরিবর্তে তাদের মাধ্যমে বাইরে ভাড়া খাটালে কিস্তিও শোধ হয়ে যাবে এবং গাড়িটিও নিজের নামে থেকে যাবে বলে টোপ দিচ্ছে। অনেক গাড়ির মালিক সহজেই সেই টোপ গিলে ফেলছেন। এরপর গাড়িটি নিয়ে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। শুধু বাঁকুড়া নয়, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি জেলাতেও এই চক্র একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে পুলিস জানিয়েছে।