প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
বহরমপুর থানা ও খাগড়া ফাঁড়ির পুলিস শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় এক কুইন্টাল বাজি উদ্ধার করেছে। তার বেশিরভাগই শব্দবাজি। বহরমপুর থানার আইসি উদয়শঙ্কর ঘোষ বলেন, কয়েকদিনে আমরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। উদ্ধার হওয়া বাজি নিষ্ক্রিয় করব। মানুষের কাছে আবেদন, আলোর উৎসবে কেউ শব্দবাজি ব্যবহার করবেন না।
পুজোর আগে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেদার বাজি কেনা চলেছে। বহরমপুরের রানিবাগান, খাগড়া, নতুনবাজার, গোরাবাজার, কান্দি বাসস্ট্যান্ড ও মোহনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় খুচরো বাজি বিক্রেতারা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রচুর বাজি বিক্রি করেছেন।
বাজি বিক্রেতা অতনু ঘোষ বলেন, এবার সব গ্রিন বাজি তুলতে হয়েছে। এই বাজির একটু দাম বেশি। কিন্তু আমরা নিরাপদে বাজি বিক্রি করতে পেরেছি। ক্রেতা সমর হালদার বলেন, পুলিস ধরপাকড় করছে। তাই এবার কোনও শব্দবাজি কিনিনি। আতশবাজি কিনেছি। খাগড়ার বাজি বিক্রেতা রনি মণ্ডল বলেন, কালীপুজোয় অনেকেই আতশবাজির পাশাপাশি অল্প পরিমাণে শব্দবাজি কিনতে চাইছে। আমাদের কাছে এসে খোঁজ করছে। কিন্তু আমরা শব্দবাজি তুলিনি। তবে অনেক দোকানদার লুকিয়ে শব্দবাজি বিক্রি করছে, সেটা জানি। মোহনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ক্রেতা মৃন্ময় সেনগুপ্ত বলে, বাবার সঙ্গে বাজি কিনতে এসেছি। তুবড়ি, চড়কি, ফুলঝুরি, রংমশাল কিনলাম। কালীপটকা কেনার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু পেলাম না।একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যা নিরুপমা রায় বলেন, অনেকসময় পথকুকুর, বিড়াল, ছাগল ও গোরুর গায়ে শব্দবাজি দেওয়া হয়। মানুষই অত শব্দে ভয় পায়। ওই অবলা প্রাণীদের তো তীব্র আওয়াজে খুব সমস্যা হয়। মানুষকে অনুরোধ করব, কেউ পশুদের গায়ে বাজি ছুড়বেন না।