প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
ঝাড়গ্ৰাম শহরের কেন্দ্রস্থলে হাসপাতালটি রয়েছে। জেলার দূর-দূরান্ত থেকে রোগীরা চিকিৎসা করাতে আসে। রোগী ও রোগীর পরিজনদের হাসপাতাল চত্বরে অনেকসময় রাতে কাটতে হয়। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্ন উঠছিল। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররাও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এরপরেই নিরাপত্তা বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। হাসপাতাল চত্বরের নিরাপত্তা বাড়াতে ইতিমধ্যেই ৭৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজটি হাসপাতাল থেকে তিনকিমি দূরে অবস্থিত। কলেজের ভবন পাঁচিল নির্মাণের কাজ এখনও শেষ হয়নি। কলেজ ভবনের একদিকে জঙ্গল রয়েছে। এমবিবিএসের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ১৯৪জন পড়ুয়া এখানে পঠনপাঠন করছেন। ভবনের ছাত্রী নিবাসের কাজ শেষ হয়নি। বয়েজ হস্টেলে আলাদা পার্টিশন করে ছাত্রীদের থাকার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। হাসপাতালের সাথেই মেডিক্যাল কলেজে পরবর্তীতে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে। কলেজ চত্বরে আগে ১৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল। নতুন করে আরও ১১৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। কলেজ পড়ুয়ারা এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। ঝাড়গ্ৰাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছাড়াও গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৩০টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। হাসপাতালে এখন ৪৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। নয়াগ্ৰাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এখন ৬০টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। সেখানে আরও ২০টি ক্যামেরা লাগানো হবে। ঝাড়গ্ৰাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি অনুরুপ পাখিরা বলেন, হাসপাতাল ও কলেজ মিলিয়ে ১৯৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। হাসপাতালের একাধিক প্রবেশ গেটের সংস্কারের কাজ চলছে। হাসপাতালের ভিতর বহিরাগত ব্যক্তিদের প্রবেশ আটকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিসের মোবাইল ভ্যান এমনকি পিঙ্ক মোবাইল ভ্যানও নজরদারি চালাচ্ছে।