প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থা বিশ্ববাংলা-২ উদ্যানের কাছে সমুদ্রতীরে পার্কটি তৈরির কাজ শুরু করেছিল। তার জন্য মাটি ভরাট করা, নিকাশি নালা তৈরি, পেভার ব্লক ও মার্বেল পাথর বসানো সহ আনুষঙ্গিক কাজ শুরু হয়। পাশাপাশি বসার আসন, বাহারি গাছগাছালির বাগান, আলো দিয়ে পার্কটি সাজানোর পরিকল্পনা করা হয়। এদিকে পার্ক সংলগ্ন স্থানে পথের পাঁচালি উপন্যাসের চরিত্র অপু-দুর্গা তো বটেই, বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের জনপ্রিয় চরিত্র গবেষক, বিজ্ঞানী ও আবিষ্কারক প্রফেসর শঙ্কু, গুপী গাইন বাঘা বাইনের মডেলগুলি তৈরি করা হয়। যা দেখে পার্কটি নিয়ে পর্যটক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়। উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দীঘার সৈকতে পর্যটকদের কাছে নতুন আকর্ষণ হয়ে উঠবে সত্যজিৎ রায় পার্ক। এই পরিকল্পনা রূপায়ণের জন্য ৩কোটিরও বেশি টাকা খরচ ধরা হয়। একটি এজেন্সি পার্ক তৈরির কাজ করছিল। চলতি বছরে পুজোর আগে ওই এজেন্সিকে পার্কটির কাজ শেষ করার টার্গেট দিয়েছিল উন্নয়ন সংস্থা। কিন্তু শুরুর পর প্রথম দু’তিনমাস চললেও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর আর কাজ এগোয়নি। বন্ধ হয়েই পড়ে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শিক্ষক শুভজিৎ জানা বলেন, অবিলম্বে সমস্ত সমস্যা দূর করে পার্কটি তৈরির কাজ শুরু হোক, এটাই আমাদের দাবি। পার্কটি গড়ে উঠলে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে সন্দেহ নেই। সত্যজিৎ রায়ের টানে অনেকেই এখানে আসবেন। এবিষয়ে উন্নয়ন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা কাঁথির মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, একটি এজেন্সিকে পার্কটি তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারা সময়ের মধ্যে কাজ করতে পারেনি। এর ফলে কাজ থমকে যায়। তাই ওই এজেন্সিকে বাতিল করে নতুন এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, আগামী কয়েকমাসের মধ্যে পার্কটি তৈরির কাজ শেষ করা যাবে।