প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
শহর হোক বা গ্রাম, দীপাবলির সন্ধ্যায় বাড়ি বাড়ি প্রদীপ, মোমবাতি জ্বালানোই হিন্দুদের রীতি ও পরম্পরা। সেই সঙ্গে নতুন জামাকাপড় পড়ে কচিকাঁচারা আতশবাজি পোড়ানোয় মেতে ওঠে। তবে একটা সময় পর্যন্ত শব্দবাজির কানফাটা শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে উঠতেন বয়স্ক মানুষজন। দীপাবলির সন্ধ্যা অনেকের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠতো। তবে পুলিস প্রশাসন সক্রিয় হওয়ার কারণে রাজ্যের সব প্রান্তেই শব্দদানবের অত্যাচার থেকে মানুষজন বিশেষত প্রবীণ নাগরিকরা নিষ্কৃতি পেয়েছেন। বর্তমানে অনেকেই সবুজ আতশবাজি ব্যবহার করছেন।
বোলপুর বাজার সূত্রে জানা গিয়েছে এবছর তারাকাঠির দাম ৭০ থেকে ১০০ টাকা। এছাড়া বাচ্চাদের রং মশাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। দশটি চটপটির দাম ৩০০ টাকা। এছাড়া একটি চরকির দাম ঘোরাফেরা করছে ১০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। তবে, রকেট জাতীয় আকাশে ফোটানোর বাজিগুলির দাম অত্যধিক হারে বেড়েছে। রকেট মিলছে ২০০, ৩০০ ও ৪০০ টাকায়। এছাড়া স্কাই শটের দাম ৪০০ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে, এমনটাই জানিয়েছেন বোলপুরের মিশন কম্পাউন্ডের বাজি বিক্রেতা ছোট্টু সিং। তিনি বলেন দাম বাড়লেও এবছর যেভাবে বাজি বিক্রি হয়েছে তাতে আমরা খুশি।
তবে কেউ যাতে লুকিয়ে শব্দবাজি বিক্রি করতে না পারে সেদিকে কড়া নজর রেখেছে জেলা পুলিস প্রশাসন। অ্যাডিশনাল এসপি রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, পরিবেশ ও শব্দদূষণ আটকাতে পুলিস কোনও আপোষ করবে না। ইতিমধ্যেই মহাকুমার বিভিন্ন প্রান্তে বেশকিছু শব্দবাজি আটক করা হয়েছে। অভিযানও জারি আছে।