বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
কান্দি মহকুমা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমায় এবছর প্রায় ৮৭হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। এছাড়া কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে ফুলকপি, বাধাকপি ছাড়াও পটল, বেগুন, ঝিঙে, শসা, মুলো, পালং শাক লাগিয়েছেন চাষিরা। কিন্তু গত তিনদিনের ভারী বৃষ্টির জেরে সব্জি চাষিরা সমস্যায় পড়েছেন। ময়ূরাক্ষী নদী সংলগ্ন এলাকার বেশিরভাগ চাষি সব্জি চাষ করেছেন। ভরতপুর-১ ব্লকের রুহা, হরিশ্চন্দ্র্রপুর গ্রামে এবছর ব্যাপক হারে পটল চাষ করা হয়েছে। সেখানে মাচার বদলে চাষিরা জমিতেই চাষ করেছেন। কিন্তু ওই জমির মাটিতে বালির ভাগ বেশি থাকলেও জল জমেছে।
কান্দির আন্দুলিয়া এলাকায় এবছর ব্যাপকভাবে ফুল কপি ও বাধা কপি চাষ করা হয়েছে। এই সময় কেবলই ফুল আসতে শুরু করেছে। কিন্তু জমিতে জল জমায় কপি পচে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ভরতপুর-২ ব্লকের আউচা, মাখালতোড় এলাকায় ব্যাপকভাবে করলা চাষ হয়েছে। সেখানেও জমির জমা জল চিন্তা বাড়িয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই চাষিরা বৃষ্টিতে ভিজে জমির জল বের করে দিচ্ছে। বিন্দারপুর গ্রামের চাষি সুফল শেখ বলেন, পটলের জমিতে অনেকটা জল জমে গিয়েছিল। আল কেটে জমির জল বের করে দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামের চাষি মন্মথ মণ্ডল বলেন, শসা ও পটলের জমিতে জল জমে থাকায় চিন্তা বেড়েছে। জল বের করার চেষ্টা করছি। কিন্তু লাভ হচ্ছে না। কারণ আশপাশের জমিতেও জল জমে রয়েছে। জল যাবে কোথা দিয়ে? তাই ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে।
কান্দি মহকুমা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিনে বড়ঞা ও খড়গ্রাম ব্লক এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। কান্দি মহকুমা সহকারি কৃষি অধিকর্তা পরেশনাথ বল বলেন, পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রাখছি। আমন ধানের ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে নিচু এলাকার ধানের জমি কয়েকদিন ধরে ডুবে থাকলে সমস্যা হতে পারে। শাক-সব্জি সাধারণত উঁচু জমিতে লাগানো হয়ে থাকে। তবুও আমরা নজর রাখছি। -নিজস্ব চিত্র