বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
গত জুন মাসে নিজের ফেসবুক পেজে এক বিশিষ্ট শিল্পপতির স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট নিয়ে বক্তব্য মন দিয়ে শুনছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ওই সরকারি কর্মী। তা থেকেই স্টক মার্কেটে বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহী হন। এজন্য প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিও পোস্টে থাকা লিঙ্কে ক্লিক করেন। তারপর বিমলবাবুকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করা হয়। সেই গ্রুপ অ্যাডমিনের পরামর্শে একটি ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্ট খোলেন। তারপর ইনভেস্ট পর্ব শুরু হয়। প্রথমে তিনি ৩০হাজার টাকা ও পরে আরও ৫০হাজার টাকা জমা করেন।
বিনিয়োগ শুরু হতেই বিমলবাবুকে মোটা টাকা আয়ের প্রলোভন দেখানো হয়। বলা হয়, জমা অর্থরাশি বৃদ্ধি পেয়ে ৩০০শতাংশ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ২০শতাংশ কমিশন দিতে হবে বলে গ্রুপ অ্যাডমিন জানান। এভাবেই প্রতারণার ফাঁদ পাতা শুরু হয়। ৮০হাজার টাকা বিনিয়োগের পর এবার ৩০০শতাংশ অর্থরাশি বৃদ্ধির জন্য আরও ১০লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করার চাপ দেওয়া হয়। এককালীন অত টাকা দিতে তিনি রাজি হননি। কিন্তু, অর্থরাশি ১০লক্ষ টাকা না হলে ইতিপূর্বে বিনিয়োগ করা ৮০হাজার টাকা খোয়া যাবে বলে ব্ল্যাকমেল শুরু হয়। এরপর নিরুপায় হয়ে ওই ব্যক্তি এক সপ্তাহের জন্য ১৪শতাংশ সুদে ১০লক্ষ টাকা জোগাড় করেন। তারপর তিন দফায় ৯লক্ষ ৬০হাজার টাকা জমা করেন। এভাবে পাঁচ দফায় মোট ১০লক্ষ ৪০হাজার টাকা দেন। তারপর টাকা তুলতে চাইলে ৩০শতাংশ ট্যাক্স দিতে হবে বলে শর্ত আরোপ করা হয়।
একের পর এক শর্ত আসলে প্রতারণার জালে জড়িয়ে আরও বেশি টাকা আত্মসাত করাই লক্ষ্য ছিল। সেটা বুঝতে অসুবিধা হয়নি বিমলবাবুর। তাই ১০লক্ষ ৪০হাজার টাকা খোয়া যাওয়ার পরই ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম পোর্টালে অভিযোগ জানান। তারপর ২০তারিখ তমলুক থানায় গিয়ে এফআইআর করেন। তমলুক থানার আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষ বলেন, বিমলবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
অভিযোগকারী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার একটা সময় বিশিষ্ট শিল্পপতিকে দিয়ে স্টক মার্কেটে আগ্রহী করার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। সেই বক্তব্য শুনে আমি স্টক মার্কেট নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করি। আসলে নিজের অজান্তে আমি প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছিলাম। সেজন্য ১০লক্ষ টাকার বেশি খোয়া গিয়েছে। আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। এতগুলো টাকা খোয়া যাওয়ায় আমি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছি।