বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, এই দুই পুজোর লড়াইয়ে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক রংও। সিউড়ির ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাটজনবাজার মিলনী সঙ্ঘের অনেক কার্যকর্তারাই বিরোধী দল বিজেপি কর্মী বলে চেনা যায়। স্থানীয় মানুষজন এই পুজোর সঙ্গে রাজনৈতিক রং না লাগাতে চাইলেও ঘটনাক্রমে আলোচনাতে তাই যেন এসে পড়ে। অন্যদিকে, কলোনির সর্বজনীন পুজো কমিটির মাথায় রয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামী। তাঁকে বলা হয় সাংসদ শতাব্দী রায়ের স্নেহভাজন। ফলে এই পুজোতে শাসকদলের নেতাদের আনাগোনা লেগেই থাকে।
মিলনী সঙ্ঘের পুজো এবার ৪৮তম বছরে পা রাখল। তাদের এবারের থিম মৌচাক। মন্দিরে পুজো হলেও বাইরে প্যান্ডেল করে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে এই বিশেষ থিমটিকে। গাছের ডালে যেমন মৌচাক থাকে, সেভাবেই সাজানো হচ্ছে। একটি বিশাল বড় আকারের মৌমাছি আগলে রাখবে গোটা প্যান্ডেলটাকে। ভেতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে অজস্র ছোট ছোট মৌমাছি। ফাইবারের টুকরো, কাপড়, কাগজপত্র, প্লাস্টিক দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে সেই থিমটিকে। উদ্যোক্তাদের দাবি, প্যান্ডেলে ঢুকলে মনে হবে যেন মৌচাকের মধ্যে প্রবেশ করছি। বিশেষ করে খুদেদের দেখে খুবই আনন্দ লাগবে। এর আগে ক্লাবটি স্বপ্নপুরী, কপালকুণ্ডলার মতো থিম করে শহরবাসীকে চমকে দিয়েছিল। এবারও তারা মৌচাক থিম দিয়ে মানুষের মন পেতে চাইছে। পুজো কমিটির সম্পাদক অপূর্ব মণ্ডল, শুভাশিস ঘোষ বলেন, আমরা সবসময়ই নতুনত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করি। শহরে পুজো মণ্ডপে থিম ভাবনা আমরাই চালু করেছিলাম। এবারও ৭ লক্ষ টাকার উপর বাজেট রয়েছে। দরিদ্রদের জন্য সেবামূলক কাজে জোর দেওয়া হবে। একাদশীর দিন কম্বল, প্রসাদ বিলি করা হবে।
অন্যদিকে, হাটজনবাজার কলোনি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির পুজো এবার পা রাখল ৭২ বছরে। তারা বরাবরই সাবেকিয়ানাতে জোর দেয়। ডাকের সাজে মাকে সাজানো হয়। মন্দিরের বাইরে প্যান্ডেল করে পুজো হয়। উদ্যোক্তাদের দাবি, এবারও নবমীর দিন কমপক্ষে ৫ হাজার মানুষকে প্রসাদ বিলি করা হবে। আর জোর দেওয়া হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। মেলা বসছে মন্দির প্রাঙ্গণে। ফলে লোক টানার ব্যাপারে তাদের দিকেই পাল্লা ভারী বলে দাবি করছে উদ্যোক্তারা। পুজো কমিটির সম্পাদক পবিত্র দাস, সভাপতি মনোতোষ দাস বলেন, যেভাবে সুন্দর একটা পরিবেশ থাকে, তাতে পুণ্যার্থীরা এখানে এসে একদণ্ড শান্তি খুঁজে পান। স্থানীয় ও বহিরাগত শিল্পীদের নিয়ে সবদিনই মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান হবে। বাজেট ৯ লক্ষ টাকারও বেশি রাখা হয়েছে। কারও সঙ্গে লড়াইয়ে নয়। মানুষজনকে ভালোভাবে মাকে দর্শন করার সুযোগ করে দিতে চাই আমরা। -নিজস্ব চিত্র