বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, ২০২২ সালে আড়াই হাজার পুজো কমিটি ৬০ হাজার টাকা করে পেয়েছিল। ২০২৩ সালে ২৬৬৫টি ক্লাব সেই অনুদান পায়। এবার আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বহু পুজো কমিটি অনুদান ফেরত দিতে চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছে। আবার কেউ কেউ অনুদান নেবেন না বলে ঘোষণা করছেন। কিন্তু বীরভূমে এখনও কেউ অনুদান ফেরত দেননি। বরং গতবারের চেয়ে এবার বেশি পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শান্তিনিকেতনের গুরুপল্লি উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক সমিতির দুর্গাপুজো কমিটি অনুদান নেবে না বলে দাবি করেছে। ওই কমিটির কর্মকর্তাদের দাবি, তাঁরা এবার রাজ্য সরকারের অনুদান নিচ্ছেন না। সাধারণ মানুষের কাছে চাঁদা চাইতে গিয়ে বিরূপ মন্তব্য শোনার কারণেই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত বলে জানাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার বলছেন, আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদেই টাকা নিচ্ছেন না। তবে পুলিস জানিয়েছে, প্রতিবাদ জানিয়ে অনুদান না নেওয়ার বিষয়ে কোনও আবেদন আসেনি। যে তিনটি ক্লাবকে এবার আর টাকা দেওয়া হচ্ছে না-তার পিছনে কারণ আছে।
জেলা পুলিসের এক উচ্চপদস্থ কর্তা বলেন, আমরা স্ক্রুটিনি করি। কখনও কখনও অনেক ক্লাবের কাগজপত্র ঠিক থাকে না। অনেকসময় আবার সম্পত্তি বিবাদে পুজো নিয়ে জটিলতা দেখা যায়। এরকম এক-দু’টি ঘটনা প্রতিবারই হয়। আবার নতুন করেও প্রচুর আবেদন আসে। সেগুলিও স্ক্রুটিনি করা হয়। এবার আমরা তিনটি ক্লাবকে বাদ দিয়ে নতুন করে ২৭টি ক্লাবকে পুজোর অনুদান দেব। সবমিলিয়ে, সংখ্যাটা ২৬৯২ হতে পারে। থানায় থানায় বৈঠক করে পুজো উদ্যোক্তাদের চেক দেওয়া হচ্ছে।
পুজো উদ্যোক্তারা এবার বাড়তি আরও ১৫ হাজার অনুদান পেয়ে খুব খুশি। শহরের পাশাপাশি এখান গ্রামীণ এলাকার পুজো কমিটিও থিম ও জাঁকজমকের দিকে ঝুঁকছে। বাড়তি টাকা পাওয়ায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও জোর দেওয়া হচ্ছে। বৃষ্টির ভ্রুকুটিকে সরিয়ে রেখে জোরকদমে মণ্ডপ, প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। তবে বেশকিছু থানায় এখনও চেক বিলি শুরু হয়নি। সিউড়ি, মহম্মদবাজার থানায় চেক বিলির অপেক্ষায় রয়েছে সেখানকার পুজো উদ্যোক্তারা। তবে পুলিস ও প্রশাসনের আশ্বাস, চলতি সপ্তাহেই প্রত্যেকে অনুদান পেয়ে যাবে।