বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
পুজোর আগে রাজ্যের সমস্ত বেহাল রাস্তা সংস্কার করতে হবে, এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই মোতাবেক তড়িঘড়ি সমস্ত রাস্তা মেরামতির জন্য দ্রুত টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর দাঁতন বিধানসভার অন্তর্গত ধনেশ্বরপুর থেকে মোহনপুর পর্যন্ত প্রায় ২৪ কিলোমিটার বেহাল রাস্তা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১ কোটি টাকা। কিন্তু এই রাস্তা সংস্কারের জন্য কোনও ঠিকাদার সংস্থা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করছে না বলে দাবি জেলা প্রশাসনের। আর তাই থমকে রয়েছে রাস্তা সংস্কারের কাজ। বেহাল এই রাস্তায় রীতিমতো সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন জায়গায় বর্ষাতে খানাখন্দে ভরে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা। ঠিকাদারদের একাংশের দাবি, রাস্তার যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তাতে এই টাকাতে সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয়। তাই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কোনও এজেন্সি অংশগ্রহণ করছে না।
জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা সংস্কারের জন্য কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও কোনও এজেন্সি এই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেনি। আর তাই সংস্কারের কাজ আটকে রয়েছে। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি যাতে দ্রুত এই রাস্তা সংস্কার করানো যায়। দাঁতন ২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ইফতেখার আলি বলেন, মোহনপুর ও আমাদের ব্লকের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষাকারী রাস্তাটির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এই রাস্তাটির সংস্কারের আশু প্রয়োজন। তাই বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আশা করছি, পুজোর আগে এই জটিলতা কেটে যাবে।
দাঁতনের বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান বলেন, মোহনপুর ব্লকের অধীন মোহনপুর থেকে জেনকাপুর পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তা রাজ্যের পূর্তদপ্তরের হাতে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। পুজোর আগে সেই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যাবে। বাকি অংশটি যাতে পূর্তদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া যায়, তার জন্য আমি বিধানসভায় দপ্তরের মন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছি। (বেহাল রাস্তা।-নিজস্ব চিত্র)