বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
ঝাড়গ্ৰামের জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল বলেন, বিনপুর-১ ব্লকের কংসাবতী নদী তীরবর্তী পাড় বাঁধানোর কাজে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। বর্ষার কারণে কাজ শুরু করা যায়নি। কাজ শুরুর দ্রুত পরিকল্পনা চলেছে। বিনপুর- ১ ব্লকের দক্ষিণ দিকে বাঁক নিয়ে কংসাবতী নদী প্রবাহিত হচ্ছে। লোকালয়ের দিকে নদী ক্রমাগত এগিয়ে আসছে। গ্ৰাম লাগোয়া বিস্তীর্ণ কৃষিজমি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। গ্ৰামবাসীরা জমি হারানোর সঙ্গে এবার ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কা করছেন। কংসাবতী নদী কুঙরপুর গ্ৰামের একেবারে পাশ দিয়ে বইছে। গ্ৰামবাসীরা জলের স্রোতে দুর্বল পাড় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। সংলগ্ন গ্ৰামের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে পাড় বাঁধানোর দাবি জানাচ্ছেন। নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলার সঙ্গে ঝাড়গ্ৰামেও গত শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টিপাত হয়। তার জেরে ঝাড়গ্ৰামের কংসাবতী, সুবর্ণরেখা ও ডুলুং নদীর জলস্তর বেড়ে যায়। নয়াগ্ৰাম, সাঁকরাইল ব্লকে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ায় কংসাবতী নদীতে বিপুল স্রোতে জলস্রোত বইতে শুরু করে। জেলার উত্তরাংশে নদী তীরবর্তী বিনপুর-১ ব্লকের গ্ৰামের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। কুমোরপুর গ্রামের বাসিন্দা অরুণ দেশালী বলেন, নদীর পাড় বাঁধানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। একাধিকবার রাস্তা অবরোধও হয়েছে। গত শনিবার থেকে টানা বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর বেড়ে যায়। দিনরাত পাড়ের মাটি ধসছে। আতঙ্কের মধ্যেই আমাদের দিন কাটছে। পাড় ভাঙলে এবার লোকালয় ডুবে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। অথচ ভাঙন রোধে প্রশাসনের কোনও তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
বালিশিরা গ্ৰামের বাসিন্দা সঞ্জয় চালক বলেন, ভাঙনের জেরে কংসাবতী নদী গ্ৰামের দিকে এগিয়ে আসছে। কৃষিজমি নদীর গ্ৰাসে চলে যাচ্ছে। পাড় বাঁধানো না হলে গ্ৰামবাসীদের ভিটেমাটি হারাতে হবে। বৈতা গ্ৰামের বাসিন্দা পবিত্র চালক বলেন, বাঁকুড়ার মকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়লে কংসাবতী ফুঁসতে থাকে। নদীর দুর্বল পাড় যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে। পাড় বাঁধানোর জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে শুনছি। দ্রুত কাজ শুরু হোক এটাই চাইছি। বৈতা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তারক চালক বলেন, গ্ৰামের বাসিন্দারা পাড় বাঁধানোর জন্য দীর্ঘদিন দাবি জানাচ্ছিলেন। গত সপ্তাহ থেকে টানা বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর বেড়ে যায়। গ্ৰামবাসীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। প্রশাসনের আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন। পাড় বাঁধানোর জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। খুব দ্রুত কাজ শুরু হওয়ার কথা আমাদের বলা হয়েছে।
জেলা সেচদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নমিত সরকার এদিন বলেন, বিনপুর-১ ব্লকের প্রায় ১ কিমি ৮২৫ মিটার নদীর পাড় ভাঙন রোধে ৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গত জুলাই মাসে কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। বর্ষার জন্য কাজ শুরু করা যায়নি। খুব দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
(টানা বৃষ্টিতে ঝাড়গ্রামের বাঁধগোড়া এলাকায় ধানের ক্ষতি। নিজস্ব চিত্র)