বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
পুজো কমিটির সভাপতি কালুলাল সোম বলেন, ৭৫বছর আগে এই এলাকার রেলের গার্ডে কর্মরত প্রায় ১৬জন কর্মী একত্রিত হয়ে এই পুজো শুরু করেন। তাই পুজো প্রতিষ্ঠাকারী ওই স্বর্গীয় কর্মীদের প্রতীকী ছবি মণ্ডপে থাকবে। তাঁদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হবে। বর্তমানে সঙ্ঘশ্রী ক্লাবের পক্ষ থেকে এই পুজো পরিচালনা করা হয়। এবারের পুজোর বাজেট প্রায় ৪১লক্ষ টাকা।
প্যাগোডা হল একাধিক স্তরে নির্মিত হওয়া টাওয়ার জাতীয় মন্দির। অধিকাংশ প্যাগোডাই নির্মিত হয়েছে বৌদ্ধ মন্দির হিসেবে। মায়ানমারে এই রকম প্যাগোডা প্রচুর দেখা যায়। তাই মায়ানমারকে প্যাগোডার দেশ বলা হয়। পুজো কমিটির কার্যকারী সভাপতি আদিত্য রায় বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে প্রায় ৫০ফুট উঁচু ও ৩০ফুট চওড়া মণ্ডপ গড়ে উঠছে। প্লাই, বাঁশ ও কাপড় সহ নানা সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে মণ্ডপে। একচালা প্রতিমার উচ্চতা হচ্ছে প্রায় ১৬ফুট। প্রায় ৮বছর ধরে তাঁরা থিমের মণ্ডপে পুজো করে আসছেন।
সম্পাদক সুভাশিস দাস বলেন, তৃতীয়ায় পুজোর শুভ উদ্বোধন হবে। অণ্ডাল ব্লকে এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন সঞ্চারী মণ্ডল। ওই ছাত্রী পুজোর উদ্বোধন করবেন। পুজো উদ্বোধনের এই রীতি ১০বছরের।পুজো উদ্যোক্তা শোভন পাল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নবমীতে কুমারী পুজো হয়ে আসছে আমাদের মণ্ডপে। প্রায় ২০জন শিশুকন্যা পুজিত হয়। নবমীতে খিচুড়ি ভোগ সেবা দেওয়া হয়। প্রায় ৩হাজার মানুষ ভোগ গ্রহণ করেন। প্রকৃত দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এই বছর ৭৫বছর উপলক্ষ্যে রক্তদান শিবির করা হচ্ছে। ৭৫জন রক্তদান করবেন। গাছ লাগিয়ে বন মহোৎসব করা হবে। এছাড়াও প্রায় প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে। বাউল, নৃত্য অনুষ্ঠান, সঙ্গীতানুষ্ঠান, নাটক, অঙ্কন প্রতিযোগিতা সহ বিচিত্রানুষ্ঠান রয়েছে। অন্য এলাকার ও ভিনজেলার সঙ্গীত শিল্পীরা আমাদের এখানে অনুষ্ঠান করলেও একদিন মঞ্চ থাকে স্থানীয়দের জন্য। স্থানীয় ছেলেমেয়েদের প্রতিভা জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য ব্যবস্থা করি প্রতিবছরই। এবারে পুজো দুর্গাপুরের বিগ বাজেটের পুজোগুলির সঙ্গে টক্কর দেবে। - নিজস্ব চিত্র