বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
সাঁইথিয়া শহরের বিগ বাজেটের পুজো কমিটিগুলির মধ্যে অগ্রণী সমাজ ক্লাব অন্যতম। প্রতিবছরই বিভিন্ন সামাজিক বার্তা নিয়ে পুজোর আয়োজন করেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু এবার জাঁকজমক পুজোর থিমে কিছুটা রাশ টানা হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডে চিকিৎসক তরুণী খুনের ঘটনার বিচারের দাবি জানাতে এবছর পুজোর চারদিনে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে না বলে পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি।
পুজোর আয়োজনে থিম করা হচ্ছে শুধু আলোকসজ্জা এবং স্থানীয় নবাগত শিল্পীদের হাতের আঁকা ছবি দিয়ে। তবে প্রতিবারের মতো প্রতিমা হবে সাবেকি। ক্লাবের স্থায়ী মন্দিরেই প্রতিমার পুজো অনুষ্ঠিত হবে। মন্দিরের বাইরে অংশে তৈরি হচ্ছে বেঙ্গালুরুর আদিযোগীর আদলে শিবের বিশাল মূর্তি। গ্লাস ফাইবারের সামগ্রী দিয়েই এই কালো রঙের মূর্তি সাজানো হচ্ছে। শশী শেখর থিম অনুযায়ী শিবের মাথায় থাকবে চাঁদ। আলোক সজ্জায় সেই মূর্তির প্রতিটি অংশ পৃথকভাবে জ্বলে উঠবে শিবস্তোত্র মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে। পাশাপাশি মণ্ডপের বাকি অংশে থাকবে বিভিন্ন ক্যানভাস চিত্র। এই ক্যানভাসগুলি আঁকছেন স্থানীয় নবাগত শিল্পীরা। পুজোর সময় বস্ত্র বিতরণ, ভোগ বিতরণ ইত্যাদি আয়োজন করা হবে। এবছর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করা থেকে থিমের যাবতীয় ভাবনার মধ্যমণি সাঁইথিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান তথা ক্লাবের সদস্য বিপ্লব দত্ত। ক্লাবের সভাপতি সব্যসাচী দত্ত ও সম্পাদক সাধন দাস বলেন, আমরা তিলোত্তমার ঘটনার বিচার চাই। সেই কারণে এবার পুজোর মধ্যে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে না। কিন্তু যেহেতু পুজোর সঙ্গে অনেকের রুজিরুটি জড়িয়ে রয়েছে তাই পুজো হবে। আলোক সজ্জায় বিশেষ সেই আকর্ষণ তুলে ধরা হবে।