বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, বাঁকুড়া শহরের মাচানতলা এলাকায় পুরনো এফসিআই গুদাম সংলগ্ন সরকারি জমিতে বেআইনি মদ বিক্রির অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে খোদ বাঁকুড়া পুরসভার তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। পুরকর্তাদের তরফে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের বিষয়টি অবহিত করা হয়। ওই খবর ‘বর্তমান’ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর হইচই শুরু হয়। প্রশাসনের কাছ থেকে পুলিসের কাছে রিপোর্ট তলব করা হবে বলে আধিকারিকরা জানান। সদর থানার পুলিস ওই এলাকায় বেশ কয়েকবার হানা দেয়। যদিও এখনও সেখান থেকে দেদার বেআইনি মদ বিক্রি হচ্ছে বলে স্থানীয়দের দাবি। মাচানতলার পাশাপাশি লালবাজার ভাটিগোড়া, সিনেমারোডের দু’টি গুমটি, স্টেশন রোডের একাধিক হোটেল ও ঝুপড়ি, কেরানিবাঁধ রেলগেট, গোবিন্দনগরে বাঁকুড়া মেডিক্যালের মর্গ ও লোকপুরের একটি ট্যাক্সিস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় বেআইনিভাবে চোলাই বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ভোর রাত পর্যন্ত দেশি, বিদেশি মদের বোতল ওইসব জায়গায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিসের একাংশ ওইসব বেআইনি ঠেক থেকে তোলা আদায় করছে। সেই কারণে অভিযানের খবর আগাম ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। ফলে বেআইনি মদ কারবার বন্ধে পুলিস আধিকারিকরা উদ্যোগী হলেও তা কাজে আসছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদর থানার এক আধিকারিক বলেন, মাচানতলার এফসিআই গুদাম সংলগ্ন এলাকা সহ অন্যান্য জায়গায় আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। মূলত সন্ধ্যার পর অভিযানে নামা হচ্ছে। তবে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই মদ বিক্রির সঙ্গে যুক্তরা পালিয়ে যাচ্ছে। তাদের কাছে অভিযানের আগাম খবর পৌঁছে যাচ্ছে। এব্যাপারে আমরা থানার কয়েকজনকে সন্দেহ করছি। তাদের উপর নজর রাখা হচ্ছে। আগামী দিনে প্রয়োজনে তাদের না জানিয়েই অভিযানে যাওয়া হবে। - প্রতীকী চিত্র