হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমান জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, বর্ধমান শহরের ১৬টি রেস্তরাঁ ও ১৫টি মিষ্টির দোকানের খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ৩১টি জায়গায় ফুড সেফটি আধিকারিকদের সঙ্গে অডিট টিম গিয়েছিল। খাবারের মান থেকে রান্নাঘরের পরিস্থিতি তারা খতিয়ে দেখেছে। যারা খাবার তৈরি বা পরিবেশন করেন তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন কিনা সেই রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। খাবারে মশা, মাছির উপদ্রব বন্ধ করার জন্য কী ব্যবস্থা রয়েছে তা খোঁজ নেওয়া হয়েছে। এইসমস্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে রেটিং করা হবে। শহরের বাসিন্দাদের সামনে তা আনা হবে। কোন রেস্তরাঁর খাবার কতটা স্বাস্থ্যকর তা তাঁরা জানতে পারবেন।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, অডিট টিম রেস্তরাঁ বা দোকানগুলির উপর স্কোর তৈরি করবে। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিভাষায় এটাকে হাইজিন রেটিং বলা হচ্ছে। এতে ক্রেতা এবং ব্যবসায়ী দু’পক্ষই উপকৃত হবেন। ক্রেতারা স্বাস্থ্যকর জায়গায় যেতে পারবেন। যেসব দোকানের রেটিং খারাপ তারা উন্নতি করার চেষ্টা চালাবে। এক আধিকারিক বলেন, রেটিং তৈরিতে একাধিক প্যারামিটার রাখা হয়েছে। দোকানের কর্মীদের চর্মরোগ থাকলে রেটিং কমবে। কর্মীরা টুপি বা ক্যাপ না পরলে নম্বর কমবে। তাছাড়া রেস্তরাঁগুলি উন্নতমানের মশলা ব্যবহার করছে কিনা সেটা দেখা হবে। অনেক বিক্রেতা বেশি লাভের জন্য নিম্নমানের মশলা ব্যবহার করেন। কেউ আবার খাবারের আকষর্ণীয় রং করার জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করেন। সেগুলি ততটা স্বাস্থ্যকর হয় না। শহরের অনেক মিষ্টির দোকান স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করে না। তারপরও তাদের ক্রেতার অভাব হয় না। মিষ্টির ট্রেতে মাছি ভনভন করে। ওই দোকানগুলির রেটিংও সামনে আনা হবে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, করোনার পর থেকে প্রতিটি শহরেই রেস্তরাঁর সংখ্যা বেড়েছে। অনেকে রাস্তার পাশে সরকারি জমি দখল করেই দোকান করেছে। আর এক আধিকারিক বলেন, কোনও দোকান বা রেস্টুরেন্টে কম দামে খাবার পাওয়া যাচ্ছে মানেই তা স্বাস্থ্যকর নয়, এমনটা ভাবা ঠিক নয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় তারাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার তৈরি করছে। জনপ্রিয় বহু রেস্টুরেন্ট সেসব তোয়াক্কা করছে না। ওই রেস্তরাঁগুলি নামেই কাটছে। তবে রেটিং সামনে আসার পর সবকিছুই পরিষ্কার হয়ে যাবে।