হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
সংবাদদাতা, লালবাগ: স্ত্রী ও মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন যুবক। যদিও শ্বশুরবাড়িতে তখন যুবকের স্ত্রী এবং অন্য লোকজন ছিলেন না। খবর জানাজানি হতেই স্থানীয়রা ওই যুবকর শ্বশুরবাড়ির সামনে ভিড় জমান। সকাল থেকে বেশ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর ওই যুবক এবং তাঁর বাবা-মা বাড়ি ফিরে যান। রবিবার সকালে ভগবানগোলা থানার হোসেননগর বলরামপুরের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে রানিতলা থানার জীবনপুরের ইব্রাহিম শেখের সঙ্গে ভগবানগোলা থানার হোসেনপুর বলরামপুরের ফজিলা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয়। বছর চারেক আগে গর্ভবতী অবস্থায় ওই যুবতী বাবার বাড়িতে আসেন। নির্দিষ্ট সময়ে তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু তারপর আর স্বামীর কাছে ফিরে যাননি। ঈদের আগে স্ত্রী ও মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যেতে এদিন সকালে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন ওই যুবক। ইব্রাহিম শেখ বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে তার কোনও ঝগড়াবিবাদ নেই। বিয়ের পর থেকে দুইজনের মধ্যে সুসম্পর্কই ছিল। সন্তান প্রসবের কয়েক মাস আগে শাশুড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে আসেন। মেয়ে হওয়ার তিনমাস পর স্ত্রী ও মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু তখন আরও মাস দুয়েক পর পাঠাবে জানিয়ে আমাকে ফিরিয়ে দেয়। তারপর স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার জন্য একাধিকবার এসেছি। কিন্তু প্রত্যেকবার খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। এদিন স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে যেতে এসেছি। সঙ্গে মেয়ের জন্য ঈদের জামাকাপড় নিয়ে এসেছি। এখানে এসে দেখছি বাড়িতে কেউ নেই। একজন বয়স্ক মহিলা বাড়িতে রয়েছেন। আমার প্রতি স্ত্রীর এবং স্ত্রীর প্রতি আমার কোনও অভিযোগ নেই। শাশুড়ি আমার বিরুদ্ধে নানা কথা বলে স্ত্রীর মনটা বিষিয়ে তুলছেন। স্ত্রী ও মেয়েকে ফেরত পেতে আইনের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হব। যুবকের শাশুড়ি ফুলতন বিবি বলেন, বিয়ের পর থেকে জামাই ও তার পরিবারের লোকজন মেয়ের উপর অত্যাচার শুরু করে। মেয়েকে ওই বাড়িতে পাঠালে আর ফিরে পাব না। তাই মেয়ে ও নাতনিকে আর ওখানে পাঠাব না। ভগবানগোলা থানার পুলিস আধিকারিক বলেন, এই বিষয়ে কেউ কিছু জানায়নি। জানালে তদন্ত করে দেখা হবে।
