হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যা নাগাদ শিশু বাড়ির উঠোনে বসে খেলা করছিল। এমন সময় পাশের জঙ্গল থেকে একটি শেয়াল ঘরে প্রবেশ করে। শিশুটিকে মুখে করে টেনে বেশ কিছুটা দূরে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায়। তখন শিশুর মা গৃহকর্মে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় বাইরে কোনও লোকজন ছিলেন না। ফলে শেয়ালটি চুপিসারে টেনে নিয়ে যায়। পাশের জঙ্গলে খোঁজ শুরু করলে শিশুটিকে ফেলে শিয়ালটি পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির গলায় একাধিক কামড় দেয় শিয়ালটি। রক্তে গোটা গা ভিজে যায়। শিশুর বাবা ইয়াদুল শেখ বলেন, ওর মা ঘরে কাজ করছিল। বাচ্চাটা খেলছিল। কখন ঘরে চুপিসারে শেয়াল ঢুকেছে বুঝতেই পারিনি।
শিশুর মা শোকে ভেঙে পড়েছেন। কান্নায় ভেজা চোখে বলেন, মেয়েকে শোওয়ানোর বন্দোবস্ত করছিলাম। মুহূর্তের মধ্যেই আমার কোল খালি করে দিয়ে চলে গেল। বিষয়টি জানার পরই বনদপ্তরের কর্মীরা এলাকায় যান। সেখানে শিশুটিকে শেয়ালে টেনে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন ও রক্তের দাগ ও পর্যবেক্ষণ করেন। বনদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, লকডাউন পরবর্তী সময়ে এলাকায় বিশেষ করে গোল্ডেন জ্যাকলের সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে খাবারের সন্ধানে তারা যেখানে সেখানে হানা ছিচ্ছে। এলাকাবাসীকে আরও সতর্ক ও সচেতন হতে হবে, তাহলে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, দিন প্রায় দশেক আগেও এক সকালে রঘুনাথগঞ্জের সেকেন্দ্রায় দুই বছরের শিশুকন্যাকে শিয়াল বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে যায়। পাশের মাঠে নিয়ে গিয়ে শিশুটিকে খুবলে খায় শিয়ালে। এ প্রসঙ্গে জঙ্গিপুর বনবিভাগের আরও দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি জানার পরই বনদপ্তরের কর্মীরা এলাকায় যান। সেখানে গিয়ে বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন। পরিবারটি নিয়ম মেনে আবেদন করলে সরকারি আর্থিক সুবিধা পেতে পারে।