হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রকল্পের কাজে নদীয়া অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। এই জেলায় ১১লক্ষ ৮৯হাজার ৬১টি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার টার্গেট রয়েছে। তারমধ্যে ন’লক্ষ ৮৮হাজার ৮৮২টি বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল পৌঁছে গিয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় টার্গেট কম। তবে এই জেলা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। এই জেলায় দু’লক্ষ ৫৩হাজার ৮১৩টি বাড়ির মধ্যে এক লক্ষ ৬৮ হাজার ৬৮৯টিতে জল পৌঁছে গিয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা কাজের নিরিখে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। এই জেলার সাত লক্ষ ছ’হাজার ৯৮৬টি বাড়িতে পাইপলাইনের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আরও প্রায় চার লক্ষ বাড়িতে জল দেওয়া হবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বনাথ রায় বলেন, কাজের গতি আরও বাড়ানো হবে। কয়েকটি জায়গায় সমস্যা ছিল। তা মিটে গিয়েছে। অনেক গ্রামে জল অপচয় করা হয়। সেটা ঠিক হচ্ছে না। জলের অপচয় বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই প্রকল্পের কাজে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪পরগনার মতো জেলাগুলি পিছিয়ে রয়েছে। মুর্শিদাবাদে ১৬লক্ষ ৭৫হাজার ৩২৩টি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার টার্গেট রয়েছে। তারমধ্যে মাত্র ছ’লক্ষ ২৭হাজার ১২৪টি বাড়িতে জল দেওয়া হয়েছে। কাজের গতি বাড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে রাজ্য বেশ কয়েকবার বৈঠক করে। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। বীরভূম জেলাতেও এখনও পর্যন্ত টার্গেটের অর্ধেক বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া যায়নি। তিন লক্ষ ২১ হাজার ৭৮৭টি বাড়িতে জল দেওয়া হয়েছে। এই জেলায় আট লক্ষ ৫০হাজার ৫০৫টি বাড়িতে জল দেওয়ার টার্গেট রয়েছে। জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া এবং ঝাড়গ্রামের মতো জেলাগুলিকেও কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে কাজ না হলে জেলাগুলি সমস্যায় পড়তে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার নতুন কোনও বিধি লাগু করলে প্রকল্পের কাজ শেষ করাই দায় হয়ে উঠবে।