বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
বাঁকুড়ার পুলিস সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই নাবালিকাই অভিযুক্তদের নাম জানিয়ে দেয়। তার ভিত্তিতে দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তও চলছে। আপাতত নাবালিকার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে ওই নাবালিকা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। কাছেই জঙ্গলের কাছে চলে যায়। তিন দুষ্কৃতী তাকে জঙ্গলের কাছে একা পেয়ে আটকে আড়ালে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পাশবিক অত্যাচারের জেরে ওই নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পুলিস ঘটনার খবর পেয়ে তাকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করে। ঘটনার পর নাবালিকার পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারসঙ্গে ধৃতদের শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। বাঁকুড়া আদালতের মামলার সরকারি আইনজীবী লক্ষ্মীনারায়ণ গোস্বামী সংবাদ মাধ্যমে বলেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ওই তিন অভিযুক্ত জঙ্গলে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। তাতে নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পড়ে। অভিযুক্তরাই তাকে ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেখে দিয়ে চলে যায়। পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে সেখানে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে থানাতেও খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিস আসে। পরে তাকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। আগামী ২১ জুন ধৃতদের ফের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। নাবালিকাকে গণধর্ষণ গুরুতর অপরাধ।
উল্লেখ্য, এই গণধর্ষণের ঘটনায় জেলার বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকেই এই ঘটনায় অভিযুক্তদের চরম শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন। বাঁকুড়ার এক মানবাধিকার সংগঠনের কর্মী(সিপিডিআরএস) স্বপন নাগ বলেন, এই ধরনের ঘটনা নিন্দনীয়। পুলিস যাতে দ্রুত তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে আদালতে বিচারের
ব্যবস্থা করে তার দাবি জানাচ্ছি। দোষীদের যাতে শাস্তি হয় সেই দিকটিও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, এই ঘটনায় যথাযথ তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। - নিজস্ব চিত্র