বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
নির্যাতিতা মহিলা বলেন, শুক্রবার রাত ২টো নাগাদ বাথরুমে যাই। মূল দরজার বাইরে বাথরুম রয়েছে। সেখান থেকে ঘরে ঢোকার সময় দু’জন জাপটে ধরে। তারা আগে থেকে রান্নাঘরে লুকিয়েছিল। আট বছরের নাতনির সামনেই ওরা ধর্ষণ করে। আমার গলায় বঁটি ঠেকিয়ে রেখেছিল। নাতনিকে মারার হুমকি দেয়। সেকারণে ভয়ে চিৎকার করতে পারিনি। এক ঘণ্টারও বেশি সময় তারা ঘরে ছিল। সকালের আলো ফোটার আগে তারা মোবাইল, বঁটি সহ বেশকিছু বাড়ির সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। তাদের মুখ বাঁধা ছিল। শুধু চোখ দু’টি দেখা যাচ্ছিল। ওরা চলে যাওয়ার পর বিষয়টি পাড়ার লোকজনকে জানাই। তিনি বলেন, ওদের কঠোর সাজা হওয়া দরকার। তা না হলে ওরা আবার কারও সর্বনাশ করবে। নাতনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এই অল্পবয়সে তাকে জঘণ্য ঘটনার সাক্ষী হতে হল।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ৩৮-এর ওই মহিলা গ্রামের বাইরে ছোট একটি বাড়িতে একা থাকেন। লোকের বাড়িতে কাজ করে তিনি সংসার চালান। কয়েক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হয়। সেই থেকেই তিনি একা থাকতেন। কয়েকদিন আগে নাতনি তাঁর বাড়িতে আসে। দুষ্কৃতীরা সদর দরজা দিয়েই ভিতরে ঢুকেছিল। ওই মহিলা সদর দরজা খুলে বাড়ির বাইরে বাথরুমে যান। সম্ভবত সেই সময়ই তারা ঘরে ঢুকে যায়। জোর করে তাঁকে ঘরে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করতে থাকে। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, ধৃত দুই দুষ্কৃতীর বাড়ি পাশের গ্রামেই। তারা প্রায়ই মহিলার গ্রামে আসা যাওয়া করত। তিনি আবাস যোজনার বাড়িতে একা থাকেন, সেই খবরও তাদের কাছে ছিল। সুযোগ বুঝে তারা শুক্রবার গভীর রাতে বাড়িতে ঢোকে। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশেনের সূত্র ধরেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিন নির্যাতিতা মহিলার মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। অভিযুক্তরা অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ওই মহিলা গ্রামের শেষ প্রান্তে
একটি বাড়িতে থাকতেন। সেজন্যই এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দুষ্কৃতীরা অত্যাচার করলেও গ্রামবাসীরা কেউ টের পাননি।