বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় ধর্ষিতার বয়স ছিল প্রায় ১৫ বছর। নাবালিকা জন্ম থেকেই শারীরিকভাবে প্রায় ৭০ শতাংশ প্রতিবন্ধকতার শিকার। ২০১৮ সালের জুলাই মাস নাগাদ রানাঘাটে নাবালিকার পাড়ায় একটি পুজোর অনুষ্ঠান ছিল। তার বাড়ির কাছেই পুজোর প্রসাদ রান্নার কাজ হচ্ছিল। হঠাৎ তুমুল বৃষ্টি নামায় রান্নার সামগ্রী নাবালিকার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়। সন্ধ্যে হয়ে যাওয়ায় সেই সময় আলো জোগাড় করতে নাবালিকার মা অন্যত্র গিয়েছিলেন। ঘরে মেয়েটি একাই ছিল। সেই সুযোগেই অনুষ্ঠানে আসা ওই দুই আসামি উৎপল ও প্রদীপ তাকে ধর্ষণ করে।
ঘটনার দু’দিন পর রানাঘাট মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার মা। অভিযোগ দায়ের করার কিছুদিনের মধ্যেই ওই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ সহ প্রায় ছয় বছর ধরে চলে এই পকসো মামলাটি। গত শুক্রবারই উৎপল ও প্রদীপকে দোষী সাব্যস্ত করে রানাঘাট আদালত। এদিন সাজা ঘোষণার পর আদালত চত্বর থেকে বেরিয়ে এসে নির্যাতিতার আইনজীবী রাজশ্রী বেহুরা বলেন, দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে আমার মক্কেল বিচার পেল। বিচারক দুই আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানারও নির্দেশ দিয়েছেন। অনাদায়ে আরও সাড়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।