বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, ভোটের ফল প্রকাশের পরই খেজুরি-২ ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় তাণ্ডব চালাচ্ছে বিজেপি। ১৩জুন হলুদবাড়ি অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি আলাপন দাসের উপর হামলা চালানো হয়। নিজকসবা পঞ্চায়েতের আলিপুর, গরানিয়া, দক্ষিণ কলাগেছিয়া এবং জনকা পঞ্চায়েতের শ্যামপুর উত্তর বুথে তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হন। আলিপুরে আটটি দোকান বন্ধ ছিল। তৃণমূলের পার্টি অফিসও দখল করেছিল বিজেপি। লাগামহীন অত্যাচারের প্রতিবাদে শুক্রবার জনকা গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল পৌঁছয়। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, শিউলি সাহা, দলের নেতা কুণাল ঘোষ প্রমুখ শ্যামপুর মোড়ে প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন। সেই সভা থেকে হামলায় জড়িতদের ৭২ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের সময়সীমা বেঁধে পুলিসের উদ্দেশে হুঁশিয়ার দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূল কংগ্রেসের ওই প্রতিবাদ সভায় স্থানীয় বুথ সভাপতি দেবকুমার প্রামাণিক ও তাঁর ভাই বৃহস্পতি প্রামাণিক মঞ্চ বাঁধার দায়িত্বে ছিলেন। সভা শেষে বিজেপির লোকজন বৃহস্পতিকে ঘিরে ধরে। সভা করায় তাঁকে গালিগালাজের পর আচমকা হাঁসুয়া দিয়ে মাথায় কোপ মারা হয়। তাঁর মাথা দিয়ে গলগল করে রক্ত বের হয়। সঙ্গে সঙ্গে ওই তৃণমূল কর্মীকে জনকা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর মাথায় সেলাই পড়েছে। ঘটনায় চারজন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে খেজুরি থানায় এফআইআর হয়। পুলিস একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বিজেপির সন্ত্রাসের জেরেই খেজুরি ও তালপাটিঘাট কোস্টাল থানার ওসিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি কমিশনের নির্দেশে ভোটের মুখে বদলি হওয়া কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাসকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়। বৃহস্পতিবার এসডিপিওর উপস্থিতিতে আলিপুর বাজারে বন্ধ থাকা দোকানপাট খোলা হয়। পাশাপাশি বেদখল হওয়া পার্টি অফিসও তৃণমূল পুনরুদ্ধার করে। কিন্তু, এখনও হলুদবাড়ি, নিজকসবা এবং খেজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির হামলা করছে বলে অভিযোগ।
তৃণমূলের খেজুরি-২ ব্লক সভাপতি সমুদ্ভব দাস বলেন, শুক্রবার শ্যামপুর মোড়ে আমাদের প্রতিবাদ সভা হয়। সেখানে মন্ত্রী এবং দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সেই সভা শেষ হওয়ার পর আমাদের বুথ সভাপতির ভাইয়ের উপর আক্রমণ করে বিজেপির লোকজন। মাথায় কোপ মারে। গুরুতর জখম হন। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা করছি। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছি। খেজুরির বিজেপি নেতা তাপস দোলই বলেন, কুণাল ঘোষ ও শিউলি সাহা উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখেছেন। তাঁরা ধমকানি চমকানি দেওয়ার পর সভা শেষে ঝামেলা বাধে। এজন্য তৃণমূল নেতৃত্ব দায়ী।