মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
স্কুল ও কমিউনিটি হলগুলিকে সেফ হাউস হিসেবে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। বিপর্যয় হলে মাটি, ছিটেবেড়া ও ভগ্ন বাড়িতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পঞ্চায়েত প্রধান ও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরামবাগের এসডিও সুভাষিনী ই বলেন, ক্যুইক রেসপন্স টিমকে নামানো হয়েছে। কন্ট্রোলরুম খোলা আছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপর্যয় মোকাবিলায় সিভিল ডিফেন্স ইউনিটকে বিশেষভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মহকুমা, ব্লক অফিস সহ পঞ্চায়েগুলিতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত রাখা হচ্ছে। উদ্ধারকারী গাড়িগুলিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ব্লক স্বাস্থ্যগুলোতে জীবনদায়ী ওষুধ ও অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত রাখা হয়েছে। চিহ্নিত করা হয়েছে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের। প্রয়োজনে তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যেতে পারে বা তার ছিঁড়ে শর্টসার্কিটের সম্ভাবনা থাকে। বিদ্যুৎ দপ্তরকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ফেরিঘাটগুলিতে নৌকা পারাপার বন্ধের জন্য এদিন সকাল থেকে পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকায় মাইকিং করা হয়। কৃষিদপ্তরের তরফে চাষিদেরও সচেতন করা হয়েছে। বোরো ধান কেটে ফেলা ও সব্জি জমি থেকে জল যাতে তাড়াতাড়ি বের করে ফেলা যায়, তার জন্য চাষিদের আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে বলা হচ্ছে।
আরামবাগের বিডিএমও স্বর্ণাভ মিত্র বলেন, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, দমকল, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই বিভাগগুলি সমন্বয় রেখে কাজ করবে। নদ ও নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের যাতে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তার ব্যবস্থা আমরা করছি। স্কুল ও কমিউনিটি হলগুলিকে সেফ হাউস হিসেবে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। শুকনো খাবার মজুত করে রাখা হয়েছে।
গোঘাট-১ বিডিও সম্রাট বাগচি বলেন, ২৪ ঘণ্টা আমাদের কন্ট্রোল রুম খোলা আছে। হোয়াটসঅ্যাপে ইমার্জেন্সি গ্ৰুপ খোলা হয়েছে। যে কোনও বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটলে বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, পুলিস ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে যাবে। জরুরি পরিষেবার নম্বর পঞ্চায়েতের মাধ্যমে এলাকার মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভিলেজ পুলিস এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে।