মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
কান্দি মহকুমা বাদে মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে আম ও লিচু বাগান রয়েছে। চলতি বছরে লিচুর ফলন ভালো হলেও আমের ‘অফ ইয়ার’। আম চাষিরা জানিয়েছেন, অফ ইয়ার হওয়ায় প্রায় সমস্ত বাগানে গড়ে ২৫ শতাংশ আমগাছে মুকুল এসেছিল। কালবৈশাখীর দাপট না থাকলেও শোষক ও শুলি পোকার আক্রমণে প্রায় ১০ শতাংশ আম নষ্ট হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে শুধু বৃষ্টি হলে অসুবিধা নেই। কিন্তু ঝড় হলে আম ও লিচু চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
অন্য বছর সারেঙ্গা, বিমলি, পাঞ্জাপসন্দ, বিরা সহ বেশ কয়েকটি জলদি প্রজাতির আম বৈশাখের শেষদিক থেকে বাজারে আসতে শুরু করে। তবে এবছর মুকুল দেরিতে আসায় ওই সমস্ত প্রজাতির আম এখনও সেই অর্থে পুষ্ট হয়নি। এখনই ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির আশঙ্কায় চাষিদের ঘুম উড়েছে।
জিয়াগঞ্জের আমচাষি বিশ্বনাথ মণ্ডল বলেন, জেলায় অতি ভারি বৃষ্টি হবে বলে সংবাদপত্র থেকে জেনেছি। তবে সেইসঙ্গে ঝড় হলে আমের ব্যাপক ক্ষতি হবে। ভগবানগোলার চাষি সুব্রত মণ্ডল বলেন, এবছর আমের ফলন খুব কম। মুকুল দেরিতে আসায় আম এখনও পুষ্ট হয়নি। তাই আগাম পেড়ে নেওয়া যাচ্ছে না। আবার ঝড় হলে গাছে যেটুকু আম রয়েছে, সেটাও পড়ে যাবে। তাই খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
লিচু চাষিরাও একই দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। লালবাগের লিচু চাষি মিলন শেখ বলেন, দেশি বা গুটি লিচু বেশ কিছুদিন ধরে পাকতে শুরু করেছে। এখন ঝড় হলে হাওয়ার দাপটে ঝরে যাওয়ার পাশাপাশি লিচু ফেটে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অপর লিচু চাষি উদয় দাস বলেন, ৫০ হাজার টাকায় দু’টি বাগান লিজ নিয়েছি। দুই সপ্তাহে ১০ হাজার টাকার লিচু বিক্রি করেছি। ঝড় হলে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।