মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
শনিবার ষষ্ঠ দফায় পুরুলিয়ার সাতটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়। অন্যান্য কেন্দ্রে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটলেও মানবাজার বিধানসভায় ভোট শান্তিপূর্ণভাবে মিটেছে। সকাল থেকেই মানবাজারের বিভিন্ন বুথে দেখা যায় ভোটারদের লম্বা লাইন। বিশেষ করে মহিলাদের ভিড় ছিল নজরকাড়া। মহিলারা জানান, রান্না বান্না থেকে শুরু করে বাড়ির কাজ সামলাতে হবে। তাই সকাল সকাল তাঁরা ভোট দিয়েছেন।
এদিন সকাল সকাল সপরিবারে ভোট দেন মানবাজারের বিধায়ক তথা পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু। মানবাজারে তাঁর নিজের গ্রামেরই কাতলাগড়া জুনিয়র হাইস্কুলের ২০২ নম্বর বুথে তিনি ভোট দেন। ভোট দিয়ে বেরিয়ে তিনি বলেন, সকাল সকাল ভোট দিলাম। আমাদের এখানে সবাই শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট দিই। তৃণমূলের প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতর জয় নিশ্চিত। লক্ষাধিক ভোটে এবার তিনি জিততে চলেছেন।
এদিন মানবাজারের ঝাড়বাগদার মানভূম মহাবিদ্যালয়ের ২৪৭ নম্বর বুথকে বিয়ে বাড়ির আদলে সাজিয়ে তোলা হয়। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, বিভিন্ন কারুকার্য দিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রকে সাজানো হয়েছে। ভোটারদের বসার জন্য রয়েছে চেয়ার। বুথে ঢোকার গেট ফুল দিয়ে সাজানো হয়। সেলফি জোনের ব্যবস্থা করা হয়। নতুন প্রজন্মের ভোটারদের সেখানে সেলফি তুলতে দেখা যায়। এক মহিলা বলেন, এমনভাবে ভোট আমাদের এখানে আগে হয়নি। খুব সুন্দর পরিবেশ। ভোট দিতে এসেছি না বিয়ে বাড়ি বোঝা মুশকিল।
এই কেন্দ্রে মহিলাদের স্বতঃস্ফূর্ত ভোট দেওয়ার চিত্রে খুশি তৃণমূল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য তাঁরা এবার তৃণমূলকেই বেছে নিয়েছেন বলে দাবি শাসক শিবিরের। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মহিলাদের ভোট এবার বেশি মাত্রায় তাদের ঝুলিতে পড়েছে। এখানকার মানুষ রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে। তাই এবারও মানবাজার থেকে লিড থাকবে। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি গুরুপদ টুডু বলেন, মানবাজারের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছে। গড় অক্ষুণ্ণ তো থাকবেই। তার সঙ্গে যা খবর পাচ্ছি, গত নির্বাচনের তুলনায় আরও ভালো ফল মানবাজারে হবে। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক জনপ্রিয় ঘোষ বলেন, শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হয়েছে। এখানকার মানুষ বিজেপিকেই ভোট দিয়েছে। মানবাজারে এবার বিজেপি এগিয়ে থাকবে।