গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার বলেন, খ্যাতনামা শিল্পীরা অনুষ্ঠান করে কবির জন্মভিটেকে সম্মান জানাবেন। বড় আকারে মেলা হচ্ছে। সারা বছর ধরেই কবির ১২৫তম জন্মজয়ন্তী পালন করা হবে।
বিদ্রোহী কবি নজরুলের জীবনের অনেকটা সময় কেটেছে চুরুলিয়ায়। তাঁর জন্মভিটেতে কবির আত্মীয়-পরিজন ও ভক্তরা মিলে নজরুল মেলার আয়োজন শুরু করেন। নজরুল অ্যাকাডেমির অধীনে চুরুলিয়ায় কবির একটি সংগ্রহশালাও ছিল। পরবর্তীকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় খুলে একদিকে যেমন শিক্ষার বিকাশ করেন তেমনই নজরুল গবেষণার দ্বার আরও খুলে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অধীনে আসে কবির জন্মভিটে, প্রমীলা মঞ্চ, সংগ্রহশালা। মেলার ও উৎসবের আয়োজনও নিজেদের কাঁধে তুলে নেয় বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানেই এবার ঘটা করে বিশ্ববিদ্যালয় নজরুল জয়ন্তী পালন করছে।
২৫মে থেকে ২৯মে পর্যন্ত স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি নামী শিল্পীরা আসছেন। ২৬মে আসছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত নজরুলগীতির শিল্পী ফিরদৌস আরা, গান পরিবেশন করবেন দীপ চট্টোপাধ্যায়। ২৭মে গান গাইতে আসছেন ভারতের গজল সম্রাট হিসেবে পরিচিত পদ্মশ্রী প্রাপক অনুপ জালোটা এবং চন্দ্রাবলী রুদ্র দত্ত। ২৮মে গান গাইবেন মনোময় ভট্টাচার্য। শেষ দিন অনুষ্ঠান করবেন কবির নাতি অরিন্দম কাজি।
কবির ভাইপো রেজাউল করিম বলেন, ১৯৮২সাল থেকে নজরুল অ্যাকাডেমি এই মেলার আয়োজন করে আসছে। আমরা সাতদিনের মেলা করতাম। গতবছর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিনদিনের মেলা ও অনুষ্ঠান করেছিল। এবার পাঁচদিন অনুষ্ঠান করবে বলে জানিয়েছে। মেলা পাঁচদিনের হলেও ভাঙা মেলা আরও দু’দিন থাকতে পারে।