গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
অপরদিকে, শেষদিনের নির্বাচনী প্রচারে ঝাড়গ্রাম এলাকায় খুব একটা সাড়া ফেলতে পারল না বিজেপি। সাঁকরাইল, নয়াগ্রাম গোপীবল্লভপুর ২ সহ অন্যান্য ব্লকের বেশ কয়েকটি মণ্ডলে তাদের প্রচার হলেও তাতে সাধারণ মানুষের ভিড় খুব একটা লক্ষ্য করা যায়নি। এমনকী ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী প্রণত টুডুর শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি এদিন শেষ প্রচারের সকালে বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি বলে জানান বিজেপির জেলা সভাপতি তুফান মাহাত।আর এই নিয়ে জেলা তৃণমূলের কটাক্ষ, বিজেপি পরাজয় নিশ্চিত জেনেই ঘরে বসে পড়েছে। তাদের এই মুহূর্তে ঠান্ডা হয়ে বিশ্রাম নেওয়া দরকার। তবে বিজেপির জেলা সভাপতি দাবি, ঠিকঠাক ভাবে জেলাজুড়ে তাঁদের শেষ দিনের তাদের প্রচার চলেছে। এদিন বিকেলে পাঁচমাথার মোড়ের স্ট্রিট কর্নারে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রার্থী। তুফান বলেন, নয়াগ্রাম বিধানসভা এলাকায় এদিন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডি সভা করেছেন। গত বুধবার প্রচারে বেরিয়ে রোদে গরমে প্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তার প্রেসার বেড়ে গিয়েছিল। তবে এই ঘটনা কর্মীদের মধ্যে কোন প্রভাব ফেলবে না। অবশেষে দিন বিকেলে ঝাড়গ্রাম শহরের একটি স্ট্রিট কর্নারে দলের প্রার্থী উপস্থিত হলেও মানুষের ভিড় খুব একটা ছিল না। এনিয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত রায় বলেন, এবারের ভোটে আমরা মাইক্রো ম্যানেজমেন্টের উপর জোর দিচ্ছি। গত বিধানসভা ভোটে বড় বড় সভা করে আমাদের পরাজয় ঘটেছে। এবার আমরা বিভিন্ন মণ্ডলের বুথওয়ারি প্রচারে ব্যস্ত ছিলাম। প্রায় সমস্ত ব্লকের বিভিন্ন মণ্ডলে শেষ দিনের প্রচার হয়েছে।
অন্যদিকে, জেলাজুড়ে প্রচার করেছে সিপিএম। এদিন সিপিএম প্রার্থী সোনামণি টুডুর সমর্থনে প্রচার হয়। প্রচারে মানুষের ঢল নেমেছিল। শেষ দিনের প্রচারে খুশি সিপিএম নেতৃত্ব। এদিন সিপিএমের জেলা সম্পাদক প্রদীপ সরকার বলেন, আমাদের প্রার্থী সব দিক থেকে এগিয়ে। মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি আর মানুষ পছন্দ করছে না।