গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
ডিসি ধ্রুব দাস বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী একাধিক লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে। তাই নাকা চেকিং জোরদার করা হয়েছে। গাড়িগুলিতে তল্লাশি করা হচ্ছে। কেউ যাতে কোনওভাবেই এই এলাকায় থেকে নির্বাচনে গণ্ডগোল না পাকাতে পারে সেজন্য নজরদারি চালানো হচ্ছে।
একসময় মাফিয়াদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে চিহ্নিত ছিল ধানবাদ ও আসানসোল। ঝাড়খণ্ড ও বাংলার এই দুই শহরে কয়লাকে কেন্দ্র করে অর্থনীতি নির্ভর করে। সেই কালো হীরের দখল নিয়ে গড়ে ওঠে মাফিয়ারাজ। পরবর্তীকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই এলাকায় পুলিস কমিশনারেট গঠন করেন। প্রচুর বাড়তি পুলিস ফোর্স থাকায় আসানসোল এখন শান্ত। এবার আসানসোল লোকসভা নির্বাচনে কোনওরকম অশান্তি হয়নি। কিন্তু ধানবাদ থেকে গিয়েছে আগের অবস্থাতেই। এখনও সেই এলাকায় মাফিয়াদের ঝামেলায় একের পর শ্যুটআউটে মৃত্যু হচ্ছে। এমনকী, জেলের ভিতরও গুলি চলছে। এই অবস্থায় ধানবাদের ভোট শান্তিপূর্ণ করাই নির্বাচন কমিশনের কাছে চ্যালেঞ্জ। শনিবার ভোটের দিন যাতে কেউ অপরাধ করে এই কমিশনারেট এলাকায় আশ্রয় না নিতে পারে তা নিয়ে বাড়তি নজরদারি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি এখানকার দুষ্কৃতীদের উপরও নজর রাখা হচ্ছে।
পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রটিও শিল্পাঞ্চলের অদূরে। সেখানেও টানটান লড়াই বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। এছাড়াও বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের উত্তর প্রান্ত জুড়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেট এলাকা। সীমানাজুড়ে পুলিসি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। একইভাবে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের একাংশ আবার দুর্গাপুর সংলগ্ন। সেখানেও বাড়তি নজরদারি শুরু হয়েছে। দুর্গাপুর ব্যারেজ, মেজিয়া ব্রিজ, দিসেরগড় ব্রিজ, বরাকরে চিরকুণ্ডা ব্রিজের উপর পুলিস নজরদারি চালাচ্ছে।