গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
তৃণমূলের এই প্রচার মেয়েদের মন ছুয়ে যাচ্ছে। গলসির ভুরি পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা সুমিত্রা দাস বলেন, কোনও বাঙালি মেয়ে সহজে স্বামীর ঘর ছেড়ে আসতে চায় না। ওঁর উপর নিশ্চই অত্যাচার হয়েছে। যাঁরা মেয়েদের সম্মান দিতে পারে না, তাঁরা সমাজের কাজ কীভাবে করবেন। আরএক মহিলা বলেন, দিদি আমাদের জন্য অনেক কিছুই করেছেন। মেয়েদের নামে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড হচ্ছে। পড়াশোনার জন্যও চিন্তা করতে হচ্ছে না। বিজেপি তো মেয়েদের জন্য কিছু করেনি। ওরা মেয়েদের বিরুদ্ধে কথা বলে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায়কেও ওরা অপমান করতে ছাড়েনি। সুজাতা মণ্ডল একজন মেয়ে হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। তাঁর পাশে থাকব না কেন?
বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা খণ্ডঘোষ বিধানসভা কেন্দ্র বিজেপির রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রায় ৩০ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিল। এবার লিড আরও বাড়বে বলে শাসক দলের দাবি। রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা স্বপন দেবনাথ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মায়েদের সম্মান দিয়েছেন। তাঁদের আত্মনির্ভর করেছেন। বিজেপি মেয়েদের অসম্মান ছাড়া আর কিছুই করেনি। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, সন্দেশখালি এরাজ্যের বাইরে নয়। সেখানে মহিলাদের উপর কী অত্যাচার হয়েছে তা কারও অজানা নয়। কেউ অনুদান চায় না। সম্মান চায়। মায়েরা এখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। মায়েরা ওদের বিসর্জন দেবেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, খণ্ডঘোষ ও গলসি এলাকায় তৃণমূলের মহিলা সংগঠনও কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছিলেন। তৃণমূল প্রার্থী প্রচারে এসে তাঁর উপর অত্যাচারের কথা একাধিকবার তুলে ধরেছেন। বিজেপি কতটা নারী বিদ্বেষী তার প্রমাণ হিসেবে তিনি নিজেকেই তুলে ধরেছেন। সেটা শাসক দলের কাছে বাড়তি হাতিয়ার হয়ে গিয়েছে।