প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভায় ৭৮.২৭শতাংশ ভোট পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোটদানের হার চাকদহে। সেখানে ৮৩.২৭শতাংশ ভোট পড়েছে। এরপরই রয়েছে শান্তিপুর। এই বিধানসভায় ৮৩.২১ শতাংশ ভোট পড়েছে। নবদ্বীপে ৮২.৯৫, রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমে ৮২.৫০, কৃষ্ণগঞ্জে ৮১.৬৬ ও রানাঘাট দক্ষিণে ৮১.৫৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিটি বিধানসভায় চার-পাঁচ শতাংশ ভোটের হার বেড়েছে। এমনকী গোটা রানাঘাট কেন্দ্রের গড় ভোটদানের হারও বেড়েছে প্রায় তিন শতাংশ।
তৃণমূলের দাবি, বর্ধিত এই ভোটের বড় অংশই মহিলাদের। ভোটপর্ব শেষ হওয়া পর্যন্ত লাইনে মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি দেখা যায়। শুধুমাত্র গ্রামীণ এলাকা নয়, শহরেও প্রায় ৯০ শতাংশের কাছাকাছি ভোটদানের রেকর্ড তৈরি হয়েছে শান্তিপুরে। শান্তিপুরের বিধায়ক তৃণমূলের ব্রজকিশোর গোস্বামী বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে বলে বিজেপি মিথ্যা প্রচার শুরু করেছিল। আমরাও পাল্টা প্রচারে মহিলাদের আশ্বস্ত করেছিলাম। দিদির প্রকল্প যাতে বন্ধ না হয়ে যায় সেজন্য বাড়ির প্রত্যেক মহিলা ভোটার নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, রানাঘাট কেন্দ্রের বর্ধিত ভোটদান ইভিএমে আমাদের দিকে এসেছে।
বিজেপি শিবিরের হিসেব বলছে, রানাঘাট কেন্দ্রে বিধানসভাভিত্তিক ভোটদানের হার বাড়ায় তাদের প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের জয়ের মার্জিনও গতবারের তুলনায় বাড়বে। রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সব থেকে বেশি লিড আসবে বলে আশাবাদী পদ্মফুল শিবির। বিজেপির নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক আশিসবরণ উকিল বলেন, গত পাঁচ বছরে দেশের বিকাশে নরেন্দ্র মোদি যেভাবে কাজ করেছেন সেদিকে তাকিয়েই এবার মানুষ ভোট দিয়েছেন। বর্ধিত ভোটদানের মূল কারণ দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে রাজ্য থেকে সাফ করা।