প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডুমুরিয়া গ্রামের কাছে ১০০ বছরের বেশি পুরনো একটি শিবমন্দির রয়েছে। ওই শিবমন্দিরকে কেন্দ্র করেই বসে মেলা। প্রত্যেক বছর বৈশাখ মাসের শেষ দিনে সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে পুজো হয়। পরের দিন অর্থাৎ ১ জ্যৈষ্ঠ বসে মেলা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এক সময় মেলা এতটাই জনপ্রিয় ছিল যে এক দিনের মেলার রেশ থাকত তিন থেকে চার দিন ধরে। মেলায় পাওয়া যেত গৃহস্থের সরঞ্জাম থেকে সমস্ত কিছুই। সারারাত ধরে চলত ছৌনাচ সহ অন্যান্য অনুষ্ঠান। মেলা দেখতে বহু মানুষ ভিড় করত। মেলার পরের দিনও গৃহস্থের বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করতে আসতেন ব্যবসায়ীরা। কাঁসার থালা-বাসন বিক্রি করতে আসতেন দূর-দূরান্ত থেকে কারিগররা। মেলায় বিক্রিবাটাও হতো প্রচুর। কিন্তু, ধীরে ধীরে মেলার জৌলুস হারিয়ে যাচ্ছে। এখন মেলায় বসে না নাগরদোলা, বসে না রকমারি দোকানও। তবুও এখনও মেলাকে টিকিয়ে রেখেছেন গ্রামবাসীরা। বুধবার সকালে মেলায় গিয়ে দেখা গেল, হাতেগোনা কয়েকটি দোকান বসেছে। মেলায় ভিড়ও নেই। তবে বিকেলের দিকে লোকজন বেরিয়েছিল মেলা দেখতে। এলাকার মুকুন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা বছর ৭৫-এর নির্মল রায় বলেন, ছোট বেলা থেকেই ডুমুরিয়ার মেলা দেখে আসছি। একসময় তিন-চার দিন ধরে পরব চলত। কিন্তু, এখন গ্রামের মেলায় আর তেমন ভিড় হয় না। তবুও সেখানে প্রত্যেক বছর মেলা হয়ে আসছে। স্থানীয়রা চাইছেন প্রাচীন এই মেলা টিকে থাক।
ডুমুরিয়া শিবমন্দিরের পুরোহিত জিতেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, খুব পুরাতন মেলা। কিন্তু, আগের মতো এখন আর মেলায় ভিড় হয় না। মেলাটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য উদ্যোগ নিলে ভালো হয়।