সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকাদের ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে পাচার করার ঘটনা একাধিকবার সামনে এসেছে। এইসব ঘটনা এড়াতে নাবালিকাদেরই সতর্কতার পাঠ দিচ্ছে প্রশাসন। স্কুল খোলা থাকলে সেখানে গিয়েই নানারকম সচেতনতা শিবির করা যেত। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতির জেরে মার্চ মাস থেকে স্কুল বন্ধ। দীর্ঘদিন পড়াশোনা থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন ছিল পড়ুয়ারা। কিন্তু, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই ফের অনলাইনে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে পড়াশোনা শুরু হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকারা বাড়িতে বসেই পড়াচ্ছেন। যদিও অনলাইন ক্লাসের পরও ছাত্রীদের মোবাইল ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে।
সেই কারণে ছাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে পুলিস-প্রশাসন যৌথভাবে সচেতনতার ক্লাস নিচ্ছে। শিশু সুরক্ষা দপ্তরের তরফে রাজ্যজুড়ে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীদের ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই বিশেষ সচেতনতার পাঠ দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সচেতনতামূলক পাঠদানে ভবানীভবন থেকে সিআইডি কর্তারাও ক্লাস নিয়েছেন। তার সঙ্গে জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিট ও সাইবার ক্রাইম থানা বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রীদের সচেতন করছে।
পুলিস ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে সিউড়ি, মল্লারপুর, বোলপুর প্রভৃতি এলাকার কয়েকটি স্কুলে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠরত ছাত্রীদের ভার্চুয়াল ক্লাস নেওয়া হয়েছে। সেই অনলাইন ক্লাসে নানা ধরনের প্রজেক্ট দেখানো হচ্ছে। তার সঙ্গে প্রতারণার শিকার হয়েছেন এমন মহিলাদেরও বার্তা শোনানো হচ্ছে ছাত্রীদের।
বীরভূম জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিটের আধিকারিক নিরূপম সিনহা বলেন, প্রতিদিন ১০০জন করে ছাত্রীকে নিয়ে এই ক্লাস করা হচ্ছে। একটি অ্যাপের মাধ্যমে ওই শিবির করা হচ্ছে। সচেতনতা শিবিরে সিআইডির কর্তারাও যোগ দিয়েছেন। ছাত্রীদের সচেতন করার পাশাপাশি ক্লাস শেষে তাদের কাছ থেকে একটি শপথ বাধ্য পাঠও করানো হচ্ছে। আগামী কয়েকমাস এই শিবির চলবে। পুলিসের দাবি, অনেক সময় পরিচিত ব্যক্তির ছবি নিয়ে প্রতারণা করা হয়। তাই সেই ধরনের ঘটনাগুলিতে সতর্ক থাকা বা যাচাই করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বিশেষ কোনও সমস্যায় পড়লে প্রয়োজনে সাইবার ক্রাইম থানায় যোগাযোগ করার জন্য সচেতন করা হচ্ছে। বোলপুর গার্লস হাইস্কুলের এক শিক্ষিক সুতপা মুখোপাধ্যায় বলেন, ছাত্রীদের বেশিরভাগ সময় নানা সমস্যায় পড়তে হয়। তারা প্রতিবাদও করতে পারে না। তারা বিভিন্ন বিষয় জানতেও চায়। এটা খুব ভালো উদ্যোগ।