সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
অন্যান্য বছর পুজোর পরের দিন নবদ্বীপে আলোকসজ্জায় সাজিয়ে লোহার বলবিয়ারিংয়ের গাড়িতে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহকারে প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা বের হতো। দিনের বেলায় চার-পাঁচটি প্রতিমা শোভাযাত্রায় বের হতো।
শোভাযাত্রা শেষে ওই সব প্রতিমা বিসর্জন হয়ে যেত। এবার করোনা পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক বিধি মেনে শোভাযাত্রা না হওয়ায় বাড়তি একদিন প্রতিমা রাখার সুযোগ পেয়েছেন উদ্যোক্তারা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধ এবং বৃহস্পতিবার দু’দিনে প্রায় ২৬০টির প্রতিমা বিসর্জন হবে।
ফাঁসিতলাঘাট, পীরতলা খাল, সরকারপাড়া এবং বড় শ্যামা মাতার পুকুরে বিসর্জন হবে। তবে কোনও শোভাযাত্রা বের করা যাবে বলে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। মঙ্গলবার কয়েকটি প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
ভাঙারাসের শোভাযাত্রা না হওয়ায় মন খারাপ শান্তিপুরবাসীর। অনেকের বক্তব্য, এরকম পরিস্থিতি হবে কখনো চিন্তাও করতে পারিনি। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রকোপের জেরে সচেতন নাগরিকরা শোভাযাত্রা বন্ধের প্রতিবাদ করেননি। শান্তিপুর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অজয় দে বলেন, এর আগে ১৯৮৪সালে ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার সময় জাতীয় শোক থাকার কারণে ভাঙারাসের শোভাযাত্রায় ঠাকুর ঠিক এইভাবেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, আড়ম্বরহীনভাবে। আবার অতিমারীর কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হল।
ভাঙারাসের শোভাযাত্রার যথেষ্ট নামডাক রয়েছে শান্তিপুরের। প্রতি বছর দূরদূরান্ত থেকে বহু দর্শনার্থী ভিড় জমান।
রীতি মেনে বড় গোস্বামী বাড়ির বিগ্রহ শোভাযাত্রার প্রথম বের হয়। এরপর একে একে অন্যান্য বিগ্রহ বাড়ি এবং বারোয়ারির প্রতিমা শোভাযাত্রায় বের হবে। অন্যান্য বছর শোভাযাত্রা চলে গভীর রাত পর্যন্ত। বিগ্রহ বাড়িগুলির শোভাযাত্রায় নানা ধরনের উপকরণ থাকে। সেখানে দুষ্প্রাপ্য বেলজিয়াম গ্লাসের ফানুস, মখমলি কাজের কাঠের হাউদা, রামায়ণ ও মহাভারতের কাহিনী অবলম্বনে মাটির সাঙ, ময়ূরপঙ্খীর গান, কুমারী মেয়ে রাধিকার বেশে সিংহাসনে বসিয়ে শোভাযাত্রা করানো হয়। যা দেখতে অসংখ্য মানুষ রাস্তার দু’ধারে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। যদিও চলতি বছর সেই সমস্ত কিছুই হচ্ছে না।
শুধুমাত্র রীতি মেনে বিগ্রহ বাড়ির প্রতিমা নগর পরিক্রমা করিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হবে এবং বারোয়ারির প্রতিমা মতিগঞ্জ ঘাটে নিয়ে গিয়ে বিসর্জন করা হবে।প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৈঠকে উদ্যোক্তাদের আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কয়েকজন সদস্য এবং একদল বাজনা ছাড়া ভাঙারাসের শোভাযাত্রা বা নগর পরিক্রমায় এবছর কোনও অতিরিক্ত ট্যাবলো, মডেল, বাজনা বা আলো ব্যবহার করা যাবে না। তবে শুধুমাত্র বিগ্রহ বাড়িগুলির ক্ষেত্রে একদল অতিরিক্ত কীর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আজ পুরসভার পক্ষ থেকে শহরের একাধিক জায়গায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।