সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি অমিয় বেরা বলেন, প্রথম ধাপে ১২কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আরও টাকা আসবে। শুধু এই জেলার বাসিন্দারা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন এখানে এসে চিকিৎসা করাতে পারবেন। তেমন পরিকল্পনা নিয়েই ইউনিটটি তৈরি হচ্ছে। অত্যাধুনিকভাবে এটি তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে ট্রমা সেন্টারে তৈরি করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার জন্য সাত কোটি টাকা খরচ হবে বলে প্রাথমিকভাবে ধরা হয়েছে। তা তৈরির কাজ দ্রুত শুরু হবে। এখানে মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসা পাবেন।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ক্যান্সার ইউনিটে ১০০টি বেড থাকবে বলে প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে। পরবর্তীকালে বেডের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এই ইউনিট তৈরির কাজ কবে শেষ হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কর্তৃপক্ষের দাবি, এই ধরনের ইউনিটে আধুনিকমানের যন্ত্রাংশ দরকার হয়। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর সেগুলি নিয়ে আসতে সময় লাগবে। অনেক যন্ত্রাংশ বাইরে থেকেও আনতে হয়। এছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী পেতে কিছুটা সময় লাগে। এমএসভিপি বলেন, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এখন ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা হয়। সোমবারই ক্যান্সার আক্রান্ত এক রোগীর অপারেশন আমরা এই হাসপাতালেই করেছি। তিনি সুস্থ রয়েছেন। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা পরবর্তীকালে যাতে বিনামূল্যে ওষুধ পেতে পারেন তার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কেমোথেরাপির জন্য প্রতিবছর এক কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে বলে প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে। এই টাকা পাওয়া গেলে দরিদ্র রোগীরা উপকৃত হবেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গিয়েছে। খরচের জন্য অনেক পরিবার রোগীদের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করাতে পারেন না। মুর্শিদাবাদের মতো আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া জেলার বাসিন্দা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন। তাদের কাছে এই ইউনিটটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এমনটাই দাবি কর্তৃপক্ষের। যদিও এখানে কবে থেকে পরিষেবা পাওয়া যাবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে রোগীরা হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগের চিকিৎসা পরিষেবা উন্নত করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বেশকিছু ওয়ার্ডে চিকিৎসকরা সময়মতো আসেন না। রোগীদের অনেক সময়ই বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকতে হয়। ভগবানগোলা থেকে দাদার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছিলেন এক মহিলা। তিনি বলেন, দাদার হার্টের অসুখ হয়েছে। ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছে না। তাই আমরা চাই শুধু পরিকাঠামো নয়, চিকিৎসার মানও উন্নত হওয়া দরকার। ক্যান্সার ইউনিটের জন্য বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে। সেখানে রোগীদের চিকিৎসার জন্য অন্যান্য বন্দোবস্ত ভালোভাবে করা উচিত। তবেই রোগীরা উপকৃত হবেন।