সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
এব্যাপারে পূর্ব বর্ধমান জেলার ডিএফও দেবাশিস শর্মা বলেন, কাটোয়ায় ভাগীরথীর চরে প্রতিবছরই প্রচুর বিদেশি পরিযায়ী পাখি আসে। এবছর এখন থেকেই আসতে শুরু করেছে। তাই আমরা চোরা শিকারি রুখতে নজরদারি চালাচ্ছি। পুরো শীতকালজুড়ে আমাদের নজরদারি চলবে। তবে এবার আমরা জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত কাটোয়ার ভাগীরথীর চরে পরিযায়ী পাখি গণনা শুরু করব। প্রতিবছরই নতুন নতুন প্রজাতির পাখি আসে। তাই গণনার পর আমরা দেখব কোনও প্রজাতির সংখ্যায় কত পাখি এসেছে। আমি নিজে পরিযায়ী পাখিদের কিছু ছবিও তুলেছি।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়ার ভাগীরথীর মোট তিনটি চরে পরিযায়ী পাখিরা আসছে। নয়াচর, ফুলবাগান ও অগ্রদ্বীপের কালিকাপুর চরে বিভিন্ন প্রজাতির সাইবেরিয়ান বার্ড, স্মল পেটিন কোল্ড থেকে শুরু করে কিংফিশারের দেখা মিলছে। এমনকী অস্ট্রেলিয়ান বার্ডও আসছে বলে দাবি বনদপ্তরের। কাটোয়ায় এবার গাঙ্গেয় ডলফিন রক্ষায় কড়া নজরদারি শুরু করেছে বনদপ্তর। এরজন্য রাজ্য বনদপ্তর থেকে দু’টি স্পিড বোটও পেয়েছে কাটোয়া বনবিভাগ। তাতে যেমন ভাগীরথীতে তারা টহল দিচ্ছে, তেমনই ওই বোটে চরগুলিতে পরিযায়ী পাখিদের উপর নজরদারিও চলছে। পরিযায়ী পাখিদের আসার জন্য যে পরিবেশ দরকার, তারজন্য সবরকম ব্যবস্থা করতে তৎপর তারা।
এছাড়া দাঁইহাট শহরের বিভিন্ন বিল, ছাড়িগঙ্গায় লেসার হুইসেলিং ডাক, সাইবেরিয়ান, রেড-ক্রেস্টেড, পোচার্ড, রাফ, রেড ও ইয়েলো প্রভৃতি প্রজাতির পরিযায়ী পাখিও আসে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিলগুলি অপরিষ্কার ও দুর্গন্ধযুক্ত। এগুলি পরিষ্কার করলে আরও পরিযায়ী পাখি আসার সম্ভাবনা থাকে।
কাটোয়া বনদপ্তরের আধিকারিক সুকান্ত ওঝা বলেন, আমরা পরিযায়ী পাখিদের আসার জন্য বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছি।
বনদপ্তরের আধিকারিকরা বলেন, পূর্বস্থলীর চুপির ছাড়িগঙ্গায় প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে পরিযায়ী পাখি আসে। রাজ্যের মধ্যে চুপির পাখিরালয়ের একটা সুনাম রয়েছে। রাজ্য সরকার সেখানে একটি পর্যটনকেন্দ্রও গড়ে তুলেছেন। তাই কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের কালিকাপুর চরগুলিতে যাতে আগামী দিনে পর্যটন কেন্দ্র করা যায়, তা নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা দাবি তুলেছেন। সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই এবার কাটোয়ায় পাখি গণনা শুরু করতে চায় বনদপ্তর। যাতে আগামী দিনে এখানেও পর্যটক আসতে পারেন, তা নিয়েও তারা ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে।