সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
সিএমওএইচ অশ্মিনীকুমার মাঝি বলেন, আমরা জেলায় সারপ্রাইজ ভিজিট শুরু করেছি। কর্তব্যে গাফিলতি ধরা পড়লে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বল্লভপুর গ্রামীণ হাসপাতালের সুপারকে শোকজ করা হয়েছে।
মার্চ থেকে মারণ ভাইরাসের থাবা দেশে ব্যাপকভাবে পড়ার পর থেকেই স্বাস্থ্যদপ্তরে চাপ বেড়েছে। এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল হয়ে উঠেছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। সরকার এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে যথাসম্ভব চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু গ্রাম বাংলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে পরিষেবা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ আসে। তাই এবার হাতেনাতে সেই অভিযোগের সারবত্তা বুঝতে বিশেষ ভিজিট শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা মিলছে। দীর্ঘদিন ধরেই রানিগঞ্জ ব্লকের বল্লভপুর গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে অভিযোগ ছিল। বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে ওঠা এই হাসপাতাল একটা সময় বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল ছিল। চিকিৎসক ও নার্সের চেষ্টায় অপারেশন থেকে চিকিৎসা, সবেতেই যথেষ্ট সুনাম ছিল। কিন্তু এখন তা ধুঁকছে। অভিযোগ, চিকিৎসকরা নিয়ম মেনে ডিউটি করেন না। নার্সের ডিউটিও চলছে ম্যানেজ সিস্টেমে। পরিষেবা না পাওয়ায় রোগীর সংখ্যাও কমে গিয়েছে। এই হাসপাতালে হঠাৎ ভিজিট করেন স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা। তখন দেখা যায়, খোদ সুপারই হাসপাতালে অনুপস্থিত। বাকি অবস্থাও তথৈবচ। শোকজ করা হয় হাসপাতালের সুপার জয়দ্রথ মণ্ডলকে। তবে এই অভিযান ধারাবহিকভাবে চলবে বলেই স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি। জয়দ্রথবাবু বলেন, দপ্তর থেকে আমার কাছে বেশকিছু বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল। আমি তার উত্তর দিয়ে দিয়েছি।