সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পিএলজিএর ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ সপ্তাহ পালনের ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা। আজ, বুধবার থেকে সেই সপ্তাহ শুরু হচ্ছে। চলবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে পুরুলিয়ার বান্দোয়ান ও বরাবাজার থানা এলাকায় একসঙ্গে মাওবাদী পোস্টার, ব্যানার ও প্রচারপত্র উদ্ধারের ঘটনা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন পুলিস কর্তারা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সম্প্রতি বাঘমুণ্ডি ও বলরামপুর সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডের সরাইকেল্লা জেলার সীমানায় মাওবাদীদের একটি স্কোয়াডের সক্রিয়তা কয়েক গুণ বেড়েছে। ওই স্কোয়াডের নেতৃত্বে রয়েছে মহারাজ পরামানিক নামে মাও নেতা। বরাবাজার ও বান্দোয়ান লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার সীমানা এলাকায় সক্রিয় রয়েছে মাও নেতা মদন মাহাত ও তার স্ত্রী জবা মাহাত এবং আকাশ। ইতিমধ্যে একাধিক থানা এলাকায় মাওবাদীরা নতুন করে ‘লিঙ্কম্যান’ তৈরি করেছে। সোমবার বরাবাজার ও বান্দোয়ানের ঘটনায় সেই আঁচ পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কারও যোগ ছাড়া পোস্টার সেঁটে বা ব্যানার টাঙিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন পুলিসের কর্তারা। ঝাড়খণ্ডের পাশাপাশি এরাজ্যেও নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে চাইছে মাওবাদীরা। সেই উদ্দেশ্যেই বিধানসভা ভোটের আগে নাশকতার পরিকল্পনার বিষয়ে প্রাথমিক কিছু তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। লিঙ্কম্যানদের খুঁজে বের করতে পারলে এবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
পুরুলিয়ার জঙ্গলমহল এলাকা হিসেবে পরিচিত ঝাড়খণ্ড সীমানার বান্দোয়ান, বরাবাজার, বলরামপুর সহ অযোধ্যা পাহাড় এলাকাতেও এলআরপি শুরু হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ক্যাম্পগুলিকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকার জন্য বিশেষ ‘ভার্চুয়াল বর্ডার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান’ করা হয়েছে। মূল রাস্তায় নাকা চেকিং ছাড়াও প্রত্যন্ত এলাকার জঙ্গল ও গ্রামীণ রাস্তার ক্ষেত্রে আলাদা পরিকল্পনা করেছে জেলা পুলিস। ওই পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিতভাবে পুলিস জানাতে না চাইলেও ওই এলাকাগুলি দিয়ে কারা ঝাড়খণ্ড থেকে এরাজ্যে আসছে ও কাদের গতিবিধি সন্দেহজনক, সেবিষয়ে গোপনে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকেই তথ্য নিচ্ছে পুলিস। ২৪ঘণ্টায় ওই এলাকাগুলিতে যাতায়াতের গতিবিধি নজরে রাখতে চাইছে পুলিস। ঝাড়খণ্ড থেকে মাওবাদী স্কোয়াডের সদস্যরা বিভিন্ন থানা এলাকায় কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, তা খুঁজে বের করার উপরেই সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছেন পুলিস কর্তারা। লিঙ্কম্যানদের সন্ধান পেলেই বিধানসভা ভোটের আগে মাওবাদীদের পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত জানা সম্ভব হবে। সম্প্রতি নাগা বাহিনী পুরুলিয়া জেলা থেকে ফিরে গিয়েছে। সিআরপিএফ একাধিক জায়গায় এলেও, এখনও সিরকাবাইদ ক্যাম্পে রাজ্য পুলিসের অ্যাসল্ট গ্রুপই রয়েছে। তবে, এবিষয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ জেলা পুলিসের কর্তারা। এ ব্যাপারে পুরুলিয়ার পুলিস সুপারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।