সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ২১টি ব্লক রয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা ২১১। গ্রামীণ এলাকায় পানীয় জল পরিষেবা দেওয়ার জন্য জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের একাধিক পানীয় জল-প্রকল্প রয়েছে। মূলত এই জলপ্রকল্পে রাস্তার পাশে স্ট্যান্ড পয়েন্টের মাধ্যমে গ্রামের বাসিন্দাদের পানীয় জলের পরিষেবা দেওয়া হয়। এক একটি গ্রামে একাধিক স্ট্যান্ড পয়েন্ট থাকে। জেলায় এই দপ্তরের অধীনে ১৪৮টি পানীয় জল প্রকল্প রয়েছে। স্ট্যান্ড পয়েন্ট থেকে প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ পরিষেবা পেয়ে থাকেন।
পুরসভা এলাকায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগের ব্যবস্থা থাকলেও গ্রামীণ এলাকায় সেরকম পরিষেবা নেই। ফলে, বহু পরিবার বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ চাইলেও পেতেন না। এতদিন জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের পক্ষ থেকে বাড়িতে বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হতো না। জল স্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে জেলায় এবছর প্রায় দেড় লক্ষ পরিবারকে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হবে। চলতি আর্থিক বছরে এই প্রকল্পে ঘোষণা করা হলেও লকডাউনের জেরে কোনও কাজ করা হয়নি। তাছাড়া এই প্রকল্পে কাজ করার জন্য জেলায় কোনও আর্থিক অনুমোদনও হয়নি। নভেম্বর মাসেই এই প্রকল্পে প্রায় ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গত ৬ নভেম্বর থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই জেলায় ৭২০০টি পরিবারে পানীয় জলের পরিষেবা দেওয়ার জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। মূলত ১৪৮টি পানীয় জল প্রকল্প থেকেই পাইপ লাইন বসিয়ে বাড়ি বাড়ি জল সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে, প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি সংযোগ দেওয়ার জন্য নতুন করে প্রকল্প তৈরি করা হবে।
জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের মেদিনীপুর ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শমীদীপ ভট্টাচার্য বলেন, জল স্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বিনা পয়সায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হবে। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের পক্ষ থেকে এতদিন জেলায় কোথাও বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়নি। হয়তো বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জায়গায় সংযোগ দেওয়া হতে পারে। তবে, জেলায় স্ট্যান্ড পয়েন্টের মাধ্যমেই এতদিন পরিষেবা দেওয়া হতো। জল স্বপ্ন প্রকল্প ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলবে। চলতি আর্থিক বছরে যা লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে, তা মার্চ মাসের মধ্যেই সম্পূর্ণ করতে হবে। সেই মতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে।