প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
নিষিদ্ধ শব্দবাজি রোখার দাবি বহুদিনের। এজন্য অন্যান্য বছরের মতো এবারও শিলিগুড়িতে সচেতনতামূলক পদযাত্রা করে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। প্রশাসনও গ্রিন ক্র্যাকার্স বা সবুজ বাজি বিক্রির জন্য বাজার বসিয়েছে। একসপ্তাহ ধরে নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে পুলিস। ইতিমধ্যে তারা এনজেপি, ভক্তিনগর, শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া ও প্রধাননগর থানা এলাকা থেকে প্রায় ৮০০ কেজিরও বেশি নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে। সেগুলি বিভিন্ন ধরনের দোকান ও গোডাউনে মজুত করা হয়েছিল। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এতকিছুর পরও শহরে শব্দদানবের দাপট কমেনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফেটেছে। কোথাও বাড়ির ছাদ থেকে, আবার কোথাও রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাজি ফাটানো হয়। রাত বাড়তেই শব্দবাজির দাপট আরও বাড়ে। মাটিগাড়া, বাগডোগরা, খড়িবাড়ি, নকশালবাড়ি প্রভৃতি এলাকায় শব্দবাজির দাপট ছিল আরও বেশি। স্থানীয়রা বলেন, রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সবুজ বাজি পোড়ানোর নিয়ম। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এই নিয়মকে বুড়ো আগুল দেখিয়ে দেদারে শব্দবাজি ফাটানো হয়েছে। বাজির আওয়াজে কিছু জায়গায় টেকা যাচ্ছিল না। এ ব্যাপারে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কন্ট্রোল রুমে ফোন করেও কোনও সাড়া মেলেনি। পরিবেশ আন্দোলনকারী অনিমেষ বসু বলেন, বুধবার থেকেই বাজি ফাটা শুরু হয়েছে। পুলিস, প্রশাসন ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ নির্বিকার হওয়ায় এদিন লাগামহীনভাবে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফেটেছে।
শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পশ্চিম) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর অবশ্য বলেন, নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে পুলিস সতর্ক রয়েছে। তাই নিষিদ্ধ শব্দবাজির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু মামলা রুজু করা হয়েছে। ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কাজেই পুলিসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয়।
এদিকে, পাশের শহর জলপাইগুড়িতে শব্দবাজির দাপট বিগত বছরগুলির তুলনায় কিছুটা কম ছিল। একসপ্তাহে পুলিস এখানে বিপুল পরিমাণ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিস সূত্রে খবর, জেলার প্রতিটি থানা এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার বেশি শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রির বিরুদ্ধে ২০টি মামলা রুজু করা হয়েছে। ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিস সুপার খণ্ডবাহলে উমেশ গণপত বলেন, নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি বন্ধ করতে প্রতিটি থানাকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো কোথাও ক্রেতা সেজে দোকানে হানা দিয়ে নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে পুলিস। আবার কোথাও সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে দোকানে হানা দিয়ে বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। এই অভিযান চলবে।