প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
এদিন শহরের রায়কতপাড়া থেকে বাজিবাজারে ছেলেকে নিয়ে এসেছিলেন মৌসুমী ভট্টাচার্য। বললেন, ড্রোন বাজি কেনার জন্য বাড়িতে মাথা খারাপ করে দিচ্ছে মেয়ে। শেষমুহূর্তে এসেও দু’প্যাকেট পেয়েছি। কিন্তু এই বাজির অভিনবত্ব কী? বিক্রেতা বললেন, ড্রোনের মতো দেখতে এটি। মাটিতে রেখে সলতেয় আগুন দেওয়া মাত্র এই বাজি আকাশে উড়ে যাবে। হেলিকপ্টারের মতো পাক খাবে শূন্যে আর রং বদলাবে। কোনও ড্রোন বাজির একটি রং বদলাচ্ছে। কোনওটির আবার দু’টি কিংবা তিনটি রং বদল হচ্ছে আকাশে। এবছর এই বাজি দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে ছোটদের মধ্যে। তবে পিছিয়ে নেই লাট্টু আতশবাজিও। এই বাজিতে আগুন দেওয়া মাত্রই পাক খাচ্ছে লাট্টুর মতো। সঙ্গে রংয়ের ছটা। এদিন জলপাইগুড়ি শহরের বাজি বাজারে এক পিস লাট্টু বাজি বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। এদিকে, ড্রোন ও লাট্টু আতশবাজির সঙ্গে টক্কর দিতে প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে বাটারফ্লাই। প্রজাপতির মতো রং ছড়াচ্ছে এই বাজি। এক পিস বাটারফ্লাই আতশবাজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। জলপাইগুড়ি ক্রিন ক্রেকার্স সমিতির সম্পাদক সুব্রত সেন বলেন, এবার বেশকিছু সবুজ আতশবাজি সাড়া ফেলেছে। এর মধ্যে অন্যতম ড্রোন, লাট্টু ও বাটারফ্লাই। সঙ্গে ভালোই বিক্রি হয়েছে ‘দড়ি পটকা’। সুতো ধরে টান মারলেই ফেটে যাচ্ছে বাজি। যদিও বাজি বিক্রি নিয়ে তাঁর অভিযোগ, শহরে লাইসেন্স ছাড়াই অনেকে বাজি বিক্রি করছে। পুলিস প্রশাসনকে এনিয়ে বলা হয়েছে। মানুষজন যদি বাইরেই বাজি পেয়ে যান, তাহলে বাজি বাজারে তাঁরা আসবেন কেন?