হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
সেচদপ্তর জানিয়েছে, ভুটান পাহাড়ে সেরকম বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় আলিপুরদুয়ারে ২৪০ ও হাসিমারায় ২৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সমতলে এই বিপুল পরিমাণ বৃষ্টিপাতের জেরেই শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কালজানির জলস্তর বেড়ে যায়। আর তার জন্যই সেচদপ্তর ও পুরসভা তড়িঘড়ি টাউন প্রোটেকটিভ বাঁধের স্লুইস গেটগুলি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যাতে স্লুইস গেট দিয়ে কালজানির জল শহরে না ঢোকে। কারণ, শহর থেকে কালজানি নদীর বেড উঁচু।
সেচদপ্তরের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অমরেশকুমার সিং বলেন, কালজানির জলস্তর বেড়েছে। সেজন্য স্লুইস গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে কালজানির জলস্তর বিপদসীমার নীচে রয়েছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর বলেন, রবিবার সকালে শহরের কয়েকটি নিচু এলাকায় বৃষ্টির জল জমে গিয়েছিল। আটটি পাম্প মেশিন লাগিয়ে শহরের নিচু এলাকার জমা জল নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েন শহরের বাসিন্দারা। শহরের ১, ৫, ৮, ৯, ১৫, ১৬, ১৮ এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ডের নিচু এলাকাগুলিতে জল জমে যায়। জল ডিঙিয়েই এদিন সকালে শহরের বাসিন্দাদের বাজারঘাট করতে ও দৈনন্দিন প্রয়োজনের জন্য বের হতে হয়।
এদিকে, কালজানির জল ঢুকে পড়ায় ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বীপচর এলাকাটি শহর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মিলনপল্লি এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশবাড়ি সহ পুরসভার চর এলাকাগুলি কালজানির জলে প্লাবিত হয়েছে। জলবন্দি হওয়ার ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে আলিপুরদুয়ার পুর এলাকায় পাম্প হাউস তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু সেই দাবি আজও পূরণ হয়নি। রবিবার জলবন্দি হওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ফের এই পাম্প হাউস তৈরির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। পাম্প হাউস তৈরির জন্য পুরসভা এর আগে সমীক্ষাও করেছিল। কিন্তু সমীক্ষাই সার। আজও পাম্প হাউস তৈরি হয়নি।
যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, পাম্প হাউস তৈরির প্রস্তাব রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে।