হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
উত্তরবঙ্গ তো বটেই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন এনজেপি। প্রতিদিন প্রচুর পর্যটক এই স্টেশন হয়েই পাহাড় কিংবা ডুয়ার্সে যান। এছাড়া শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, চিকিৎসা সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রচুর মানুষ আসে শিলিগুড়িতে। তাঁদের অধিকাংশই এনজেপি স্টেশন হয়ে শিলিগুড়ি সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশন চত্বরই জলমগ্ন। যার জেরে ট্রেন থেকে নেমে জল পেরিয়ে যাতায়াত করছেন পর্যটক, ব্যবসায়ী। তাঁরা স্টেশন চত্বরের বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহারের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার অবশ্য বলেন, স্টেশন চত্বরে নতুন পার্কিং ব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে। শীঘ্রই সেই কাজ শেষ হবে। এরপরই স্টেশন চত্বরে বৃষ্টির জল জমার সমস্যা দূর হবে বলে আশা করছি।
শুধু স্টেশন নয়, শিলিগুড়ি কোর্ট চত্বরের একাংশে, চম্পাসরির মহিষমারি, শিষাবাড়ি, যদুভিটা, মাওড়িয়াবস্তি, গুলমা প্রভৃতি এলাকায় বৃষ্টির জল জমেছে। স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘদিন আগে এই জায়গাগুলিতে বসতি গড়ে উঠেছে। প্রতিটি নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত সদস্যরা এসে ভোট ভিক্ষাও করেন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত গ্রামগুলিতে পরিকল্পিতভাবে নিকাশি নালা তৈরি করা হয়নি। যার জেরে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমছে জল। তা বেড় হচ্ছে না। জল পেরিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। এমনকী কিছু কিছু বাড়ির উঠোনেও রাস্তার নোংরা জল চলে এসেছে।
চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জনক সাহা বলেন, ইতিমধ্যেই নালা কেটে কিছু গ্রামের জমা জল বাইরে বের করা হয়েছে। কিছু ঘেরা জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙে দিয়ে জল বের করতে হবে। এজন্য আর্থমুভার নামাতে হবে।
এদিকে, জলস্তর বাড়ায় মাটিগাড়ায় চামটা ও বালাসন নদীতে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’টি সেতু তৈরির কাজও থমকে গিয়েছে। মাটিগাড়ার বিডিও বিশ্বজিৎ দাস বলেন, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে বৃষ্টির জমা জল গ্রাম থেকে বের করার অভিযানে নামা হয়েছে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করে এলাকাগুলিতে নিকাশি নালা তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।