হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচন পর্ব শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তারপরেই কাটমানি চক্র ফের সক্রিয়। কাটমানি দিলে তবেই মিলবে সরকারি কাজ। ঠিকাদারদের কাছ থেকে প্রায় ৫ থেকে ১০ শতাংশ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ শাসকদলের একাংশ ও বিরোধীদের।
তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি গৌতম দাসের অভিযোগ, আমাদের দলের কিছু নেতা কাটমানি নিচ্ছেন। সেজন্য কাজের মান খুবই খারাপ হচ্ছে। প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।
অনিয়ম যে হচ্ছে, মেনে নিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল। তাঁর কথায়, বিষয়টি শুনেছি। কাটমানি নেওয়া বরদাস্ত করা হবে না। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ঠিকাদাররা কাজ পাওয়ার যোগ্য হলে পাবেন। তাঁদের কাটমানি কেন দিতে হবে। লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
একাধিক প্রকল্পের টেন্ডারে অংশ নেওয়া থেকে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে শাসকদলের নেতাদের ৫ থেকে ১০ শতাংশ কাটমানি দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। অগ্রিম দিলে তবেই টেন্ডারে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে। একাংশ সরকারি কর্মীদের যোগসাজশে এই পুরো সিন্ডিকেট রমরমিয়ে চলছে বলে দাবি। কয়েক বছর আগে বুনিয়াদপুর পুরসভা ভবনের কাজে কাটমানি নেওয়ার লিখিত অভিযোগ জমা হয়েছিল জেলাশাসকের কাছে। সেবার অভিযোগ ছিল খোদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। কাটমানি নেওয়ার দায়িত্ব শ্রমিক সংগঠনের এক নেতার কাঁধে ছিল। বিতর্কে জড়ানোয় তাঁর ডানা ছাঁটা হয়েছে। তবে নতুন করে টেন্ডার বের হতেই ফের চক্র সক্রিয়।
বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরীর কটাক্ষ, তৃণমূল কাটমানির দল। কাটমানি ছাড়া চলতেই পারবে না। উপর থেকে নিচুতলার সব নেতা এই কাজে যুক্ত। কে কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে?
জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ হলে তদন্ত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।