নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: রেকর্ড ভাঙা গরমে ঝলসে যাওয়ার পরিস্থিতি। মে মাসের শেষ শনিবার তাপমাত্রা এতটাই বাড়ল যে সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে গেল কোচবিহারে। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিও যেন তাপমাত্রায় একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার লড়াইয়ে নেমেছে। এদিন কোচবিহারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুরদুয়ায়ের ৪০ ডিগ্রি, জলপাইগুড়িতে ৩৯.৫ ডিগ্রি এবং শিলিগুড়ির তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মালদহ ও দুই দিনাজপুরের তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৮৭ সাল থেকে কোচবিহারের তাপমাত্রা রেকর্ড করা শুরু হয়। সেই হিসেবে এবার মে মাসে সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙেছে জেলা।
গরমে পুড়তে থাকা উত্তরবঙ্গবাসী রেহাই পেতে এখন তাকিয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালের দিকে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে অবশ্য রয়েছে সুখবর। আগামী সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গ ও গৌড়বঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। আজ, রবিবার সন্ধ্যা থেকেই উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হবে। সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গ ও গৌড়বঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। ওইদিন গৌড়বঙ্গের মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।  
আবার সোমবার থেকেই জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির জন্য হলুদ সর্তকতা রয়েছে। অন্যদিকে, মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলাতে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সে কারণে ওই দিন তিন জেলায় লাল সতর্কতা রয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় উত্তরবঙ্গের আকাশে মেঘের আনাগোনা শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে সিকিমের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর। সমতলের পাশাপাশি দার্জিলিং পাহাড় ও সংলগ্ন সিকিমেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি রয়েছে। সিকিমের বেশকিছু উঁচু এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার আবহাওয়া দপ্তর।
সিকিমের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে। সেটি রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশ হয়ে সংলগ্ন এলাকার উপকূল ভাগে প্রবেশ করবে। যখনই সেটি স্থলভাগে প্রবেশ করবে তখনই বেশি শক্তিশালী মেঘ তৈরি হবে। বর্তমানে সেই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ উত্তর দিকে রয়েছে। সেই ঘূর্ণিঝড় যখন উপকূলভাগে আসবে তখন বাতাসে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করবে। আর তার জেরেই ভারী বৃষ্টি হবে।