গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
রামকৃষ্ণ মিশনের সেভক হাউসে হামলার ঘটনায় ধৃতদের মধ্যে অন্যতম শুভম ওরফে শম্ভু মাহাত। শিলিগুড়ি শহরের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে তার বাড়ি। এর সঙ্গেই এক পুলিস অফিসারের এবং পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারের ছবি ভাইরাল হয়েছে। এতেই ওই ঘটনা নিয়ে প্রভাবশালী তত্ত্ব খাঁড়া করানোর চেষ্টা চলছে।
সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য জীবেশ সরকার বলেন, পুলিসের মদতেই রামকৃষ্ণ মিশনের উপর আক্রমণ হয়েছে। মূল অপরাধীকে না ধরে পুলিস সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে। এককথায় তৃণমূল, পুলিস ও জমি মাফিয়ারা যৌথভাবে এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এজন্য পুলিস এখন মুখ লুকোচ্ছে। এদিন ঘটনাটি নিয়ে বামফ্রন্টের একটি প্রতিনিধি দল পুলিস কমিশনারের অফিসে গেলেও কমিশনার দেখা করেননি।
বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি অরুণ মণ্ডল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় রামকৃষ্ণ মিশনের ভবন দখল নেওয়ার অভিযান চলে। যারসঙ্গে তৃণমূলীরাই জড়িত। ইতিমধ্যেই ধৃতদের মধ্যে একজনের সঙ্গে তৃণমূল নেতা ও পুলিস অফিসারের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।
রামকৃষ্ণ মিশনের ওই বাড়ি ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। সংশ্লিষ্ট এলাকা তৃণমূলের শিলিগুড়ি টাউন-৩ কমিটির অধীনে। সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি দুলাল দত্ত বলেন, রামকৃষ্ণ মিশনের উপর হামলা চালানোর মতো ঘটনা তৃণমূল কোনও দিন করেনি। আর করবেও না। ধৃতরা তৃণমূলের কেউ নয়। রাম ও বামের উস্কানিতে অরাজনৈতিক ওই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। দলীয়ভাবে আমরাও বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। অপপ্রচারকারীদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার বলেন, ধৃত ওই অভিযুক্তকে চিনি না। সে আমাদের দলেরও কেউ নয়। এ ব্যাপারে আইন আইনের পথে চলবে। তবে আমি জনপ্রতিনিধি। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করি। বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রচুর মানুষ আমার কাছে আসে। ছবি তোলে। কে, কি মতলবে ছবি তুলছে, তা বোঝা যায় না। কাজেই ধৃতের সঙ্গে আমার ছবি আছে মানেই সে আমার ঘনিষ্ঠ তা ভাবা ঠিক নয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে।
এদিকে মিশনের উপর হামলার ঘটনায় ধৃতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার মুখপাত্র (সমতল) বেদব্রত দত্ত। একইসঙ্গে তিনি বলেন, সাধু, সন্ন্যাসীদের শ্রদ্ধা করে তৃণমূল। বিগত বামফ্রন্ট জমানায় সাহুডাঙি আশ্রমের মহারাজকে হত্যা করেছিল এক সিপিএম নেতার ছেলে। সেই ঘটনা সকলেরই জানা। কাজেই সিপিএম ও ‘লাল’ বিজেপির ওসব কথা অপ্রসঙ্গিক। ওরা যৌথভাবে মিথ্যা অভিযোগ এনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হাওয়া গরম করার চেষ্টা করছে। সিপিএম নেতা জীবেশবাবু অবশ্য বলেন, তৃণমূল নেতার বক্তব্য ঠিক নয়।
অন্যদিকে, রামকৃষ্ণ মিশন কাণ্ড নিয়ে আজ, শুক্রবার রাস্তায় নামবেন সাধু, সন্ন্যাসীরা। তাঁরা বাঘাযতীন পার্ক থেকে মহকুমা শাসকের অফিস পর্যন্ত মিছিল করবেন বলে খবর।