গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে খবর, সাফাইয়ে গুরুত্ব দেওয়া শহরের রাস্তাগুলির তালিকায় রয়েছে পিডব্লুডি মোড় থেকে বিবাদী মোড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিমি পথ ও থানা মোড় থেকে ডিবিসি রোড, কদমতলা, বেগুন্টারি, দিনবাজার হয়ে মার্চেন্ট রোড, থানা মোড় প্রায় চার কিমি রাস্তা।
প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত শহরের এই গুরুত্বপূর্ণ পথে সাফাই হলেও তা দিনে এক দফায় করা হতো। কিন্তু পুরনো সেই ধ্যানধারণা বদল হতে চলেছে। পুরসভার অন্দরের খবর, জেলা সদর হওয়ায় জলপাইগুড়ি শহর সবসময় পৃথক গুরুত্ব পায়। যারজন্য জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ও আশপাশের জেলা থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে প্রচুর মানুষ শহরে আসে। যাঁরা শহরের মূল কয়েকটি রাস্তা ব্যবহার করে। তারমধ্যে অন্যতম পিডব্লুডি মোড় থেকে বিবাদী মোড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিমি রাস্তা। সেসঙ্গে রয়েছে থানা মোড় থেকে ডিবিসি রোড, কদমতলা, বেগুন্টারি, দিনবাজার হয়ে মার্চেন্ট রোড, থানা মোড় পর্যন্ত প্রায় চার কিমি বৃত্তাকার রাস্তাটি। আর এই রাস্তার সাফ সাফাইয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হবে।
পুরসভা চায়, সংশ্লিষ্ট রাস্তায় প্রকাশ্যে যাতে কোনও আবর্জনা পরে না থাকে। তারজন্য নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, আমরা ওই রাস্তার ধারের দোকানগুলিকে ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট পাত্র দেব। ওগুলিতেই অবর্জনা ফেলতে হবে। যত্রতত্র ময়লা ফেলা যাবে না। সেসঙ্গে সাফাই কাজও চালানো হবে দফায় দফায়।
এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির একটি প্রকৃতিপ্রেমী সংগঠনের সদস্য দীপাঞ্জন বক্সি বলেন, আমাদের সকলের কাঙ্খিত শহরের রাস্তা পরিষ্কার থাকবে। পুরসভার এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে আমরা খুব খুশি হব।
পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার দেবদুলাল পাত্র বলেন, পুরসভার তরফে ওই রাস্তাগুলি ভিআইপি রাস্তার মতো দেখা হবে। তারজন্য লোকসংখ্যা বাড়িয়ে সাফাই কাজে গুরুত্ব বাড়ানো হবে। যাতে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মানুষ পরিচ্ছন্ন শহরের একটা প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়। এ ব্যাপারে নির্বাচন বিধি উঠলেই কাজ শুরু হবে।