প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণ নিয়ে মুখ খুলেছেন আরএসএস নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবালে। মথুরায় এক অনুষ্ঠানে তিনি জানান, বাংলাদেশি হিন্দুদের পালিয়ে না এসে দেশেই থাকা উচিত। ওই দেশ ওঁদের মাতৃভূমি। স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই জন্য ওঁদের রক্ষা করতে হবে।
সম্প্রতি হিন্দু ধর্মাবলম্বী একাধিক শিক্ষক, অধ্যাপক চাপে পড়ে ইস্তফা দিয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের অধ্যাপক ছিলেন রন্তু দাস। তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। ইস্তফা না দিলে তাঁকে খুনের হুমকিও দেয় মৌলবাদীরা। বৈষম্যমূলক আচরণের বিস্তৃত বিবরণ ইস্তফাপত্রে লিখেছেন রন্তু। সেই ইস্তফাপত্র এখন সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল। পুলিস বাহিনীতেও বেছে বেছে হিন্দু পুলিসকর্মীদের টার্গেট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি পুলিস অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ২৫২ জন সাব ইনসপেক্টরকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়। এর মধ্যে ৯১ জন হিন্দু। এই সাব ইনসপেক্টরদের শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া, গত ২০ অক্টোবর ৬০ জন এসিপি র্যাঙ্কের পুলিসকর্মীর পাস আউট প্যারেড ছিল। সেই অনুষ্ঠানও অনির্দিষ্টকালের জন্য বাতিল করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠান না হলে ওই পুলিসকর্মীরা কাজে যোগ দিতে পারবেন না। ওই ব্যাচের সদস্য অসিত নামে এক পুলিসকর্মীর হাহাকার, ‘তীরে এসে তরী ডুবল। বৈষম্যহীন বাংলাদেশেই আমি বৈষম্যের শিকার হলাম। ইতিহাস কাউকেই ক্ষমা করবে না।’
এসবের মধ্যেই হিন্দুদের বিরুদ্ধে গুজব ছড়াতেও শুরু করে দিয়েছে মৌলবাদী সংগঠনগুলি। মুসলিম মহিলাদের ধর্মান্তরিত করার জন্য হিন্দুরা ‘লাভ ট্র্যাপ’ অভিযান শুরু করেছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। মুসলিম মহিলাদের সতর্ক করে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারও লাগানো হয়েছে। এই প্রচারের আড়ালে তাঁদের নতুন করে টার্গেট করা হচ্ছে বলে মনে করছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। ক্রমাগত কোণঠাসা হয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপর পাল্টা চাপের কৌশল বেছে নিয়েছে হিন্দুরাও। গত শুক্রবার চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘি ময়দানে নিরাপত্তা প্রদান সহ আট দফা দাবিতে সভার ডাক দেওয়া হয়েছিল। লক্ষাধিক হিন্দু সেই সভায় অংশ নেন।