প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
শনিবারের হামলায় মোট ২ হাজার কিমি পথ পাড়ি দেয় ইজরায়েলের একশোটি ফাইটার জেট। আর ১৯৮১ সালে ১১০০ কিমি পথ পাড়ি দিয়েছিল ইজরায়েলি বায়ুসেনার ১৪টি বিমান। একাধিক ‘বিরোধী’ দেশের আকাশপথ পেরিয়ে, সীমিত পরিমাণ জ্বালানির ভরসায় ইরাকে গিয়ে হামলা চালায় তারা। ইজরায়েলি সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইরানের পাল্টা হামলা ঠেকাতে এদিন প্রথম পর্যায়ে ইরানের রাডার ও এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থার উপর নিশানা করা হয়। সূর্যোদয়ের আগে হামলা চালানো হয়। তারপর নিরাপদেই ফিরে আসে ইজরায়েলের সব কটি যুদ্ধবিমান। অন্যদিকে, অপারেশন অপেরার ক্ষেত্রে ১৯৮১ সালের ৭ জুন বিকেল ৪টে নাগাদ ইরাকে উদ্দেশে উড়ে যায় ১৪টি ইজরায়েলি ফাইটার জেট। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ইরাকের ওসিরাক পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয় সেটি। প্রাণ যায় ১০ জন ইরাকি সেনার। সেবারও নিরাপদেই ফিরে আসতে সক্ষম হয় ইজরায়েলের ফাইটার জেটগুলি।
দুই অভিযানে ব্যবহৃত যুদ্ধবিমানেও মিল খুঁজে পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অপারেশন অপেরায় হামলার দায়িত্বে ছিল এফ-১৬এ যুদ্ধবিমান। আর সেগুলিকে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল এফ-১৫এ বিমান। সময়ের সঙ্গে উন্নতি হয়েছে যুদ্ধবিমানের। শনিবারের অভিযানে অংশ নেয় আমেরিকায় তৈরি ফিফথ জেনারেশন এফ-৩৫ ফাইটার জেট। তার সঙ্গে ছিল এফ-১৬আই সুফা এয়ার ডিফেন্স জেট, এফ-১৫আই র্যাম গ্রাউন্ড অ্যাটাক জেটের মতো বিমান। এগুলি এফ-১৬ এবং এফ-১৫ যুদ্ধবিমানেরই উন্নততর রূপ।