প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
এদিনের অভিযানে ছিল আমেরিকায় তৈরি ফিফথ জেনারেশন এফ-৩৫ ফাইটার জেট, এফ-১৬আই সুফা এয়ার ডিফেন্স জেট, এফ-১৫আই র্যাম গ্রাউন্ড অ্যাটাক জেটের মতো বিমান। প্রায় ২ হাজার কিমি আকাশপথ পেরিয়ে হামলার জন্য ইজরায়েল বেছে নিয়েছিল দূরপাল্লার ‘র্যামপেজ’ সুপারসনিক, ‘রকস’ মিসাইল। প্রথম দফায় ইরানের রেডার ও এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থাকে আক্রমণ করা হয়। ইরানের আকাশসীমায় ঢোকার বাধা সরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় আক্রমণ করা হয় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন কেন্দ্রগুলিকে। সূর্যোদয় হওয়ার আগেই অপারেশন শেষ।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইজরায়েল। নিহত হন হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লা। তিন দিনের মধ্যে তার জবাব দেয় ইরান। ১ অক্টোবর তেল আভিভকে লক্ষ্য করে ২০০টি মিসাইল ছোড়ে ইরান। তারই পাল্টা এদিনের বিমান হানা। যে সব এলাকা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় তেহরান, এদিন সেগুলিই ছিল ইজরায়েলি সেনার প্রধান টার্গেট। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘ইজরায়েলের উপর দু’বার হামলা চালিয়েছে ইরান। তাতে সাধারণ মানুষের প্রাণ বিপন্ন হয়েছে। এর মূল্য ওদের চোকাতে হবে।’ তাঁদের প্রাথমিক লক্ষ্য শুধু গাজা ভূখণ্ড ও লেবাননেই সীমাবদ্ধ ছিল। ইরানই এই উত্তেজনা আরও বড় এলাকায় ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ হাগারির। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘ইরান সরকার যদি নতুন করে উত্তেজনা তৈরির ভুল করে, তাহলে আমরাও পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হব।’ তবে আরও বড় সংঘাত এড়াতেই ইরানের পরমাণু কেন্দ্র ও তৈলক্ষেত্রগুলিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলে ইজরায়েলের দাবি।
হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছে তেহরানও। এই হামলায় চার সেনার মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে। যদিও ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, তাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এদিনের হামলা সফলভাবে রুখে দিতে পেরেছে। কয়েকটি জায়গায় সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে আর কোনও তথ্য তেহরান দেয়নি। যদিও এই ঘটনার পরেই ইরান ও প্রতিবেশী দেশগুলি আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়।
ইজরায়েলের হামলার পরেই ইরানকে সংযমী হওয়ার বার্তা দিয়েছে আমেরিকা। ইরান যাতে পাল্টা হামলা করতে না পারে, তার জন্য ইজরায়েল ও আমেরিকার এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থাকে ‘হাই অ্যালার্ট’-এ রাখা হয়। পরে মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র শন সাভেট বলেন, ‘আমরা ইরানের কাছে আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে লড়াইয়ের এই চক্র বন্ধ হতে পারে।’ তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ইজরায়েলের জনবহুল শহরে হামলা চালিয়েছিল ইরান। কিন্তু এদিন তেল আভিভ তা করেনি। এদিনের হামলা তাদের আত্মরক্ষার অঙ্গ। আর তারা জনবহুল এলাকা এড়িয়ে শুধু সেনা এলাকাতেই হামলা চালিয়েছে।