প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। শুরু থেকেই ঘটনায় ভারতের দিকে আঙুল তুলে আসছেন ট্রুডো। সম্প্রতি এই ঘটনায় অভিযুক্তদের তালিকায় ভারতীয় হাই কমিশনারের নাম উল্লেখ করেছিল কানাডা। সরানো হয়েছে বহু ভারতীয় কূটনীতিককে। সম্প্রতি ট্রুডো জানান, ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত কোনও তথ্যপ্রমাণ তাঁদের হাতে নেই। পুরোটাই করা হয়েছে গোয়েন্দা সূত্রের ভিত্তিতে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে কানাডা প্রশাসনকে চেপে ধরে নয়াদিল্লি। অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই ট্রুডোর এই আচরণ।
আগামী বছর কানাডায় নির্বাচন। একাধিক সমীক্ষা জানাচ্ছে, দ্রুত গতিতে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ট্রুডো। নানান কারণে তাঁর দলের উপর ক্ষুব্ধ সেদেশের নাগরিকরা। দলের অন্দরেও চাপ বাড়ছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, এই পরিস্থিতিতে আসন্ন নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির কাছে হেরে যেতে পারে লিবারেলরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই আবহে ভারত-বিরোধী অবস্থানের জন্য আরও বিপাকে পড়লেন ট্রুডো।
বুধবার সাংসদদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দলের এই অবস্থার জন্য তাঁকে দায়ী করেন দলীয় সাংসদদের একাংশ। মিটিং শেষে হাসিমুখে ট্রুডো জানান, আসন্ন নির্বাচনে তিনিই লিবারেলদের নেতৃত্ব করবেন। লিবারেল নেতা নাথানিয়াল এর্সকাইন-স্মিথ অবশ্য মনে করেন, এখনও ট্রুডোর হাতে পরিস্থিত সামাল দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি জানান, এতজন সহযোদ্ধা তাঁদের হতাশা প্রকাশ করেছেন। এই প্রতিক্রিয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত।